সুনামগঞ্জ , রবিবার, ০৪ মে ২০২৫ , ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মরে যাচ্ছে কানাইখালী নদী জেলায় উৎপাদন হবে ৩২০ কোটি টাকার বাদাম ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় চাচাকে কুপিয়ে জখম করল বখাটেরা ছাতকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ ডিসেম্বরের পাল্লা ভারী করার মিশনে বিএনপি লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন খালেদা জিয়া দিল্লির দাসত্ব থেকে মুক্ত হয়েছি নিউইয়র্কের গোলামি করার জন্য নয় : মামুনুল হক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএসএইচআর-এ নিয়োগ পেলেন হাসান হামিদ সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ১৪ মে সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান নারী শিক্ষার উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সংস্কার! সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র ১৬৮ পিস ইয়াবাসহ রিকসাচালক গ্রেপ্তার সুবিপ্রবি’র স্থান পরিবর্তনের সুযোগ নেই : সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের মহান মে দিবস উদযাপিত তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখী হতে পারে কয়েক দফায় অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ সোমবার সকালে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া জামালগঞ্জে ধান কাটতে গিয়ে হাওরে বজ্রপাতে নিহত ১
জামালগঞ্জে হতদরিদ্র ৩ পরিবারের কাছ থেকে

ঘর দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ১৫-১০-২০২৪ ০১:৫৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-১০-২০২৪ ০৮:২৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
ঘর দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছবি: হতদরিদ্র ভুক্তভোগী এক পরিবার।
স্টাফ রিপোর্টার :: জামালগঞ্জে হতদরিদ্র পরিবারকে সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. নেছার আহমেদ। গত আ.লীগ সরকারের আমলে হতদরিদ্র ৩ টি পরিবারকে সরকারি ঘর দিবে বলে এককালীন ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে ঘুরে জানাযায়, ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চাঁনবাড়ি গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সেলিম আহমদের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা, মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে কবির আহমদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা, আমিরুল হকের ছেলে সুমন মিয়ার কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা নেন ইউপি সদস্য নেছার আহমেদ। প্রায় দু বছর অতিবাহিত হলেও তাদেরকে কোনো ঘর না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সেলিম আহমেদ জানান, আমি অসহায়, মানুষের বাড়ি কাজ করে কোন রকমে সংসার চালাই। নেছার মেম্বার সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা চায়। আমি ধার দেনা করে নেছার মেম্বারকে টাকা দেই। পরে ঘর না পাওয়ায় মেম্বারকে তাগদা দিলে দেই দিচ্ছি বলে সময় নিচ্ছে। এখন আমাদের ভয়-ভীতি দেখায়। তাই মেম্বারের বিরুদ্ধে আমিসহ আরও দুই জন অভিযোগ করি। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. নেছার আহমদ বলেন, আমি ঘর দেয়ার কথা বলে কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। লালবাজারের লিলু মিয়া নামে এক লোক আমাদের এলাকার কয়েকজন অসহায় পরিবারকে ঘর ও টিউবওয়েল দিয়েছে। সেই বিশ্বাসে তারাও লিলু মিয়াকে টাকা দিয়েছে। তবে টাকা দেয়ার সময় আমাকে সাক্ষী রেখেছে। শুধু তারা নয় এলাকার আরো একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকেই লিলু মিয়া টাকা নিয়ে লাপাত্তা। তবে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। সে স্বীকার করেছে খুব শীঘ্রই তাদের টাকা ফেরত দিবে। যার প্রমাণও আমার কাছে আছে। বিষয়টি তদন্ত করে যদি আমি দোষী হই, তাহলে আমার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমি মাথা পেতে নিবো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর বলেন, অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীদের শুনানির জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শুনানিতে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স