সুনামগঞ্জ , সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর দুর্গম হাওরের ২২ হাজার শিশুকে সাঁতার শিখাচ্ছে সরকার পরবর্তীতে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হব : নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সুশীলা কার্কি আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মী নিহত সুশীলা কার্কিকে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা তাহিরপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তাহিরপুরে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সম্মেলন সম্পন্ন আইসিইউ চালু হবে কবে? জাতীয় নির্বাচনের ‘টেস্ট’ ছিল ডাকসু, ভালোভাবে উত্তরণ : প্রেস সচিব শস্যবীমা : কৃষক ও অর্থনীতির নিরাপত্তা কুরবাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন সম্পন্ন বিশ্বম্ভরপুরে বিএনপি নেতা অ্যাড. আব্দুল হকের গণসংযোগ নেই পোকামাকড়ের শঙ্কা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলনের সম্ভাবনা

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করুন

  • আপলোড সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১১-২০২৪ ০৮:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করুন
গণমাধ্যমান্তরে সংবাদ বেরিয়েছে, ‘বেড়েই চলেছে চালের দাম’। বলা হয়েছে যে, গত এক মাস ধরেই চালের মূল্য ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে সিদ্ধ চাল ও মোটা জাতের চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন দিনমজুরসহ নি¤œআয়ের মানুষেরা। নির্দিষ্ট আয়ে বাড়তি দামে চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদেরকে। ভোক্তাদের ধারণা, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কারসাজি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই কারসাজি দেশের ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে ঠেকানো যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে তাঁরা (ব্যবসায়ীরা) বেশি দামে চাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ৫০ কেজি চালের বস্তার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেড়েছে, তাই চালের দামও বেড়েছে। অর্থাৎ দাম কেবল বাড়ে কিন্তু কমে না কীছুতেই। ব্যবসায়ের নিয়ম এটাই, মুনাফার পুচ দামের মুখে না লাগলে বাজার বসে না। পণ্যের দাম বাড়ার এবংবিধ মুনাফা শিকারের পুঁজিবাদী অজুহাত অনেক পুরনো। বাংলাদেশে সেই ব্রিটিশ আমলের শুরু থেকে তার প্রকট প্রাদুর্ভাবের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এর মূলে ছিল ব্রিটিশ বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধিদের চাল মজুত করে রাখার দুরভিসন্ধি। বাংলায় সংঘটিত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর অর্থাৎ মহাদুর্ভিক্ষের প্রত্যক্ষদর্শী এক ইংরেজ (তাঁর নাম ইয়ং হাজব্যান্ড) ১৭৮৬ সালে প্রকাশিত একটি পুস্তকে লিখেছেন যে, ইংরেজ বণিকরা মুনাফা শিকারের পরবর্তী উপায় হিসাবে চাউল কিনে গুদামজাত করে রাখে। কারণ তারা নিশ্চিত ছিল, জীবন ধারণের পক্ষে অপরিহার্য এই দ্রব্যটির জন্য তারা যে-মূল্যই চাইবে তাই প্রাপ্ত হবে। চাল মজুদ করে মুনাফা করার সেই পুরনো কারসাজি এখনও চলছে। সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হচ্ছে না, কিন্তু ভোক্তা অধিকার আইনে খাদ্যদ্রব্য কোনও অবস্থাতেই মজুদ করা যাবে না এমন নিয়ম প্রচলন করতে সরকার অপারগ হচ্ছে, প্রকারান্তরে এই অন্যায়টি একটি পদ্ধতিগত কাঠামো পেয়ে যাচ্ছে বা যায়, একটি আর্থনীতিক ব্যবস্থা হিসেবে জনগণের নির্দিষ্ট অংশের ক্রমাগত ক্ষতি করে চলে, সমর্থন পেয়ে যায় রাজনীতিক সমাজের। বর্তমান মুনাফামুখি ব্যবস্থা বদলাতে না পারলেও অন্তত চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ও কঠোর আইন প্রণয়ন করা যেতেই পারে। যাতে কোনও অবস্থাতেই কেউ চাল মজুদ করতে না পারে। এবংবিধ আইন প্রণয়ন ও যথাযথ কার্যকর করা ছাড়া চালের দাম নিয়ন্ত্রণ কখনওই সম্ভব হবে না। তবে চাল মজুদ নিষেধ করার আইন মদ নিষেধ করা বা প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ করার আইনের মতো অকার্যকর হলে চলবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স