সুনামগঞ্জ , সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর দুর্গম হাওরের ২২ হাজার শিশুকে সাঁতার শিখাচ্ছে সরকার পরবর্তীতে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হব : নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সুশীলা কার্কি আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মী নিহত সুশীলা কার্কিকে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা তাহিরপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তাহিরপুরে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সম্মেলন সম্পন্ন আইসিইউ চালু হবে কবে? জাতীয় নির্বাচনের ‘টেস্ট’ ছিল ডাকসু, ভালোভাবে উত্তরণ : প্রেস সচিব শস্যবীমা : কৃষক ও অর্থনীতির নিরাপত্তা কুরবাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন সম্পন্ন বিশ্বম্ভরপুরে বিএনপি নেতা অ্যাড. আব্দুল হকের গণসংযোগ নেই পোকামাকড়ের শঙ্কা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলনের সম্ভাবনা

ডলুরায় ‘অবৈধ পাথর রাজ্য’ : পাথর লুট ঠেকাবে কে?

  • আপলোড সময় : ০৩-১২-২০২৪ ১২:০১:৫১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৩-১২-২০২৪ ১২:০৬:৪৬ অপরাহ্ন
ডলুরায় ‘অবৈধ পাথর রাজ্য’ : পাথর লুট ঠেকাবে কে?
শহীদনূর আহমেদতানভীর আহমেদ :: সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডলুরা সীমান্তের বিশাল এলাকাজুড়ে দেখা মিলবে অবৈধ পাথরের রাজ্য। ধোপাজান-চলতি নদীর দুই পাড়ে স্তূপ করে রাখা হয়েছে কয়েক লাখ ঘনফুট পাথর। প্রতিদিন বাড়ছে পাথরের পরিমাণ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইজারাবিহীন ধোপাজান-চলতি নদীতে বালু পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় পাথর উত্তোলন করছে একাধিক পাথরখেকো সিন্ডিকেট। স্থানীয় শ্রমিকরা নদীতে যে পাথর উত্তোলন করেন তা সিন্ডিকেটের কাছে স্বল্প দামে বিক্রি করে থাকেন। কম দামে কেনা এসব অবৈধ পাথর নদীর পাড়ে স্তূপ করে রাখে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। প্রশাসনের চোখ সামনেই এসব পাথর ট্রলি কিংবা ট্রাকের সাহায্যে নিয়ে যাওয়া হয় সুরমা নদীতীরবর্তী ক্রাশারমিলে। ক্রাশারমিলে প্রক্রিয়াজাত করে স্থানীয় অসাধু পাথর ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পাচার করা হয় এসব পাথর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারের এই সম্পদ লুট হলেও রহস্যজনক কারণে এটি বন্ধে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার সরেজমিনে ডলুরা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধোপাজান-চলতি নদীর দুইপাড় সদর ও বিশ্বম্ভরপুর অংশে ছোট-বড় কয়েকশ পাথরের স্তূপ। শ্রমিকরা নদী থেকে পাথর উত্তোলন করে তা এসব স্তূপে রাখছেন। প্রতি ঘনফুট পাথর ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন বলে জানান একাধিক শ্রমিক। প্রতিটি স্তূপের রয়েছে আলাদা আলাদা ‘মালিক’। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে একাধিক ট্রলি বা ট্রাকে করে স্তূপের পাথর নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। শ্রমিক ও পাথর সিন্ডিকেটের এমন পাথর লুটের হরহামেশা চলতে থাকলেও বাঁধা দিতে দেখা যায়নি সীমান্তে দায়িত্বে থাকা বিজিবিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, পেটের দায়ে আমরা নদীতে যাই। নদীতে সারাদিন যে পাথর তুলি তা বিকালে এনে নদীর পাড়ে বিক্রি করি। ৪০-৫০ টাকা ফুটে এসব পাথর কিনেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, পাথর ব্যবসার সাথে এলাকার প্রভাবশালীদের বেশিরভাগই জড়িত রয়েছেন। তারা ট্রাকে করে ক্রাশার মিলে পাথর নিয়ে যান। সড়ক পথে রাতের বেলায় পাথর পাচার হয়ে থাকে বলে জানান তিনি। ডলুরা সীমান্ত এলাকায় স্তূপকৃত পাথরকে অবৈধ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, বিজিবি জানিয়েছে এসব পাথর ভারত থেকে বাংলাদেশ এসেছে। শ্রমিক উত্তোলন করে পাড়ে রাখেন। ধোপাজান-চলতি নদী বন্ধ। নদীতে বালি-পাথর উত্তোলনের নির্দেশনা নাই। তাই এই পাথর জব্দ করে নিলামও দেয়া যাবে না। কেননা পাথর নিলাম দিলে এই কাগজের উপর ভর করে সারা বছর পাথর আনা হবে। তাই এই পাথর অবৈধ হিসেবেই থাকবে। কেউ এই পাথর পাচার করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স