সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫ , ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সড়ক নিরাপদ হবে কবে? গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তিতে গ্রাফিতি প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন দুই শিক্ষার্থী সিলেট বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজের চাকা ফেটে কর্মচারী নিহত দেশে যেন উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে : তারেক রহমান পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত জামালগঞ্জের ৬ ইউনিয়নে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘিরে সমালোচনা বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে : আনিসুল হক হাওরের উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা চাই: সালেহিন চৌধুরী শুভ ১০২ এসিল্যান্ড বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সাচনা বাজারের হাসপাতাল চালুর দাবি অদম্য মেধাবী অর্পা’র স্বপ্নযাত্রা কি থেমে যাবে? গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে : প্রধান উপদেষ্টা সাগরপথে ইউরোপে যান সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’দের বিক্ষোভ জগন্নাথপুরে ৩ আসামি গ্রেফতার হাওরে পানি নেই, সংকটে কৃষি ও মৎস্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিভে গেল আরও এক শিক্ষার্থীর জীবন প্রদীপ খেলাধুলাই পারে মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে : কয়ছর এম আহমদ

হাওরকে হারানো ঐশ্বর্য ফিরিয়ে দিতে হবে, তবেই ফিরবে পরিযায়ী পাখিরা

  • আপলোড সময় : ২৩-১২-২০২৪ ০৯:৪৯:২১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-১২-২০২৪ ০৯:৪৯:২১ পূর্বাহ্ন
হাওরকে হারানো ঐশ্বর্য ফিরিয়ে দিতে হবে, তবেই ফিরবে পরিযায়ী পাখিরা
হাওরকে হারানো ঐশ্বর্য ফিরিয়ে দিতে হবে, তবেই ফিরবে পরিযায়ী পাখিরা বিস্তারিত বলার অবকাশ নেই। কেবল বলি শীতকাল যথারীতি এসে গেছে এবং ইতোমধ্যে পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহ অতিক্রান্ত হয়েছে এবং শীত পুরোদমে হামলে পড়েছে। বাংলাদেশে হালকা শীত পড়ে অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে এবং তখন থেকেই পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করে দেশের হাওরগুলোতে, বিশেষ করে টাঙ্গুয়ার হাওরে। গতকালের (২৩ ডিসেম্বর ২০২৪) একটি দৈনিকে সংবাদ শিরোনাম করা হয়েছে, ‘হাওরে আসেনি অতিথি পাখি’। লিখা হয়েছে, “পরিযায়ী পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত ছিল সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলায় বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওর। কিন্তু এই বছর টাঙ্গুয়ার হাওরে এখনো আসেনি কোনো পরিযায়ী পাখি। ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য, বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট এই টাঙ্গুয়ার হাওর। সুদূর সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি আসতো হাওরটিতে। সাধারণত প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে হালকা শীতের আমেজ শুরু হতেই টাঙ্গুয়ার হাওরে পরিযায়ী পাখির আসা শুরু হয়। মাঘের শেষ পর্যন্ত থাকে তাদের এই পদচারণা। শীতে আসে, গরমে চলে যায় এ কারণে এদের বলা হয় অতিথি পাখি।” আমরা টাঙ্গুয়াকে ‘ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য, বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট’ করে নিয়েছি বটে কিন্তু টাঙ্গুয়ার হাওরকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র বন্ধ করিনি। আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা জাতি হিসেবে আত্মহত্যাপ্রবণ। যে-টাঙ্গুয়ার হাওর আমাদের মায়ের মতো জীবন চালানোর উপকরণ যোগায়, তার বুকে বসে মুখে মারতে আমরা অভ্যস্ত। আমরা বুঝি না যে, হাওর মারা গেলে আমরা নিজেরাও মরবো, বাঁচতে হলে উদ্বাস্তু হতে হবে। কয়েক বছর আগেও শীতের শুরুতেই প্রচুর সংখ্যক পরিযায়ী পাখির ভিড় জমে যেতো টাঙ্গুয়ার হাওরে, কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে। বলা হয়েছে, “কিন্তু এ বছর টাঙ্গুয়ার হাওরে এখনো আসেনি কোনো পরিযায়ী পাখি। এবার এই জলাভূমিতে শীত এসেছে, কিন্তু দেখা নেই পরিযায়ী পাখির, নেই পরিযায়ী জীবনের গান।” অভিজ্ঞ মহলের ধারণা : হাওরের প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিযায়ী পাখিদের খাদ্যযোগানের স্বাভাবিক যোগ্যতা হারানোসহ একদিকে জাল ও ফাঁদ পেতে পাখি নিধনের ব্যাপকতা, অপরদিকে পাখির বিচরণের অনুকূল নৈসর্গিক নির্জনতা ভঙ্গকারী পর্যটনশিল্পের প্রসারের কারণে পরিযায়ী পাখিরা হাওরবিমুখ হয়ে পড়েছে। যেখানে বনসহ খাদ্যহিসেবে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের সঞ্চয় নেই, বরং আছে মরণফাঁদের বিস্তার, সেখানে কেন পাখি মরতে আসবে? সুতরাং পরিযায়ী পাখিদের বিচরণের জন্যে হাওরকে উপযুক্ত করে নিতে হলে হাওরকে হারানো ঐশ্বর্য ফিরিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হবে, পাখি মারা একদম বন্ধ করতে হবে, হাওরে পর্যটনের নামে হাওরের নির্জনতা ভঙ্গ করা বন্ধ করতে হবে, আর বন্ধ করতে হবে হাওরে প্রাণপ্রকৃতি বিনাশী কীটনাশকের ব্যবহার। তবেই ফিরবে পরিযায়ী পাখিরা অন্যথায় নয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সড়ক নিরাপদ হবে কবে?

সড়ক নিরাপদ হবে কবে?