সুনামগঞ্জ , সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর দুর্গম হাওরের ২২ হাজার শিশুকে সাঁতার শিখাচ্ছে সরকার পরবর্তীতে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হব : নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সুশীলা কার্কি আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মী নিহত সুশীলা কার্কিকে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা তাহিরপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তাহিরপুরে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সম্মেলন সম্পন্ন আইসিইউ চালু হবে কবে? জাতীয় নির্বাচনের ‘টেস্ট’ ছিল ডাকসু, ভালোভাবে উত্তরণ : প্রেস সচিব শস্যবীমা : কৃষক ও অর্থনীতির নিরাপত্তা কুরবাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন সম্পন্ন বিশ্বম্ভরপুরে বিএনপি নেতা অ্যাড. আব্দুল হকের গণসংযোগ নেই পোকামাকড়ের শঙ্কা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলনের সম্ভাবনা

১৫ দিনেও শুরু হয়নি বাঁধের কাজ পাউবো’র দাবি ১২ ভাগ কাজ শেষ!

  • আপলোড সময় : ০১-০১-২০২৫ ১২:২০:২২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-০১-২০২৫ ১২:২০:২২ পূর্বাহ্ন
১৫ দিনেও শুরু হয়নি বাঁধের কাজ পাউবো’র দাবি ১২ ভাগ কাজ শেষ!
বিশেষ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের ১৫ দিন সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ৫৩ হাওরের একটিতেও দৃশ্যমান কাজ দেখা যায়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে বাঁধের কাজ ১২ ভাগ শেষ হয়েছে। হাওরের পানি না নামার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা। তবে কৃষক ও হাওর আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, ১২টি উপজেলার কোথাও দৃশ্যমান কাজ নেই। এখন পর্যন্ত ওয়ার্ক অর্ডারও দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। গত ১৫ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে লোকদেখানো উদ্বোধনের পর আর কাজই হয়নি। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ৭০০ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে। এ পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৫৯৬টি প্রকল্পের। সরকারি হিসেবে ১২ উপজেলায় ১৯০টি (পিআইসি) প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে দাবি করা হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার কথা। এ বছর জেলায় ১২৫ কোটি টাকায় ৫৩ হাওরের ৫৩৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ক্লোজার বা বড় ভাঙ্গন রয়েছে ১০৫টি। হাওর আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, হাওরের ফসলের প্রধান ঝুঁকির কারণ মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢল। ক্লোজার বা বড় ভাঙ্গন দিয়ে পানি ঢুকে হাওরের ফসল তলিয়ে যায়। তাই কৃষকরা ক্লোজারের কাজ আগে শুরু করার দাবি জানিয়ে থাকেন। কিন্তু এখনো কোথাও একটি ক্লোজারেও কাজ শুরু হয়নি। হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা জানান, এবারও পিআইসি গঠনে অনিয়ম হয়েছে। তাহিরপুরে এক হাওরের কৃষক আবেদন করে আরেক হাওরে কাজ পেয়েছেন। এক উপজেলার কৃষককে অন্য উপজেলায় পিআইসি দেওয়া হয়েছে। অকৃষক, বাঁধ এলাকার বাইরের লোক এবং ভূমিহীনও পিআইসি পেয়েছে। এ নিয়ে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। কোথাও সিন্ডিকেটের কাছে প্রশাসন অসহায় এবং কোথাও প্রশাসনের অসাধু কর্তারা দুর্নীতিতে জড়িয়েছে এমন অভিযোগও উঠেছে। কৃষকরা জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে ফসলরক্ষা বাধের কাজ উদ্বোধন করে। তারপর আর কাজের কোন অগ্রগতি নেই। বিলম্বে কাজ শুরু হলে হাওরের বাঁধ টেকসই হয় না এবং ঝুঁকিতে থাকে বলে কৃষকদের অভিযোগ আছে। শাল্লা উপজেলা কৃষক দলের সিনিয়র আহ্বায়ক আকরামুল হোসেন বলেন, একটি চক্র পিআইসি নিয়ে বাণিজ্য করছে। তারা সুবিধা নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করতে বিলম্ব করছে। তারা সিন্ডিকেট করে অযোগ্য লোককে পিআইসি দিচ্ছে। নীতিমালা মানছেনা। হাওরের ফসল রক্ষা সংক্রান্ত জেলা কমিটির সদস্য সালেহিন চৌধুরী শুভ বলেন, বেশিরভাগ প্রকল্পের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়নি। ওয়ার্ক অর্ডারও দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত কাজ শুরু না হলে বাঁধ টেকসই হয় না। এছাড়াও পিআইসি নিয়েও প্রশ্ন ওঠেছে। আমরা প্রশাসনকে এসব বিষয় অবগত করেছি। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সব উপজেলার হাওরে এখনো পানি রয়ে গেছে। পানির কারণে বাঁধের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে এর মধ্যে ১২ ভাগ বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব বাঁধের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স