সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫ , ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সড়ক নিরাপদ হবে কবে? গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তিতে গ্রাফিতি প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন দুই শিক্ষার্থী সিলেট বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজের চাকা ফেটে কর্মচারী নিহত দেশে যেন উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে : তারেক রহমান পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত জামালগঞ্জের ৬ ইউনিয়নে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘিরে সমালোচনা বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে : আনিসুল হক হাওরের উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা চাই: সালেহিন চৌধুরী শুভ ১০২ এসিল্যান্ড বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সাচনা বাজারের হাসপাতাল চালুর দাবি অদম্য মেধাবী অর্পা’র স্বপ্নযাত্রা কি থেমে যাবে? গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে : প্রধান উপদেষ্টা সাগরপথে ইউরোপে যান সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’দের বিক্ষোভ জগন্নাথপুরে ৩ আসামি গ্রেফতার হাওরে পানি নেই, সংকটে কৃষি ও মৎস্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিভে গেল আরও এক শিক্ষার্থীর জীবন প্রদীপ খেলাধুলাই পারে মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে : কয়ছর এম আহমদ
দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ

ঠিকাদারের খামখেয়ালিপনা দেড় বছরের কাজ শেষ হয়নি ছয় বছরেও

  • আপলোড সময় : ০৯-০১-২০২৫ ০৮:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০১-২০২৫ ০৫:০৩:১২ অপরাহ্ন
ঠিকাদারের খামখেয়ালিপনা দেড় বছরের কাজ শেষ হয়নি ছয় বছরেও
আশিস রহমান :: দোয়ারাবাজার উপজেলার শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার প্রথম এবং একমাত্র বিদ্যাপীঠ দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সাইডিং ঘাট সংলগ্ন হিজলতলায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার নির্ধারিত সময়সীমা ছিল (৫৪০ দিন) দেড় বছর। কিন্তু কাজ শুরুর ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনোব্দি নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। ধীর গতিতে নির্মাণকাজের ফলে পাঠদান কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটছে। এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তর ও ঠিকাদারের টালবাহানায় দেড় বছরের কাজ ছয় বছরেও শেষ হয়নি। কবে নাগাদ এই কাজ শেষ হবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। জানা যায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৮ টাকা বরাদ্দে দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পাঁচতলা একাডেমিক কাম চারতলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের সাথে ওয়ার্কশপ ও একতলা সার্ভিস এড়িয়াসহ পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুতায়ন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাকরণ, বাউন্ডারি ওয়াল, অভ্যন্তরীণ রাস্তা এবং গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ যৌথভাবে পায় ময়মনসিংহের মেসার্স ভাওয়াল কন্সট্রাকশন ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রা. লি.) এবং ঢাকার গুলশান নিকেতন এলাকার এম. এম. বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চুক্তিতে লাইসেন্স এনে কাজ করছেন জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ঠিকাদার মাহতাবুল হাসান সমুজ। দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের লামাসানিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী বলেন, সময়মতো কাজ স¤পন্ন হলে আরো চার বছর আগে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা যেতো। কাজের ধীর গতি হওয়ায় আমাদের উপজেলার শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত কাজ স¤পন্ন করার দাবি জানাই। সুরমা ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণকাজ করতেই যদি ছয় বছর লাগে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম কিভাবে শুরু হবে? এখানে ঠিকাদারের গাফিলতি আছে। প্রশাসনেরও তদারকির অভাব আছে। দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এ. এস. এম. নাঈম বলেন, আমি যোগদানের পর গত জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় একাডেমিক কার্যক্রম। নির্মাণকাজ আরো আগে শেষ করা গেলে আরো আগেই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা যেতো। কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে। অফিস রুমও স্থানান্তর করা যাচ্ছেনা। কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। নির্মাণকাজের ধীরগতি স¤পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদার মাহতাবুল হাসান সমুজ বলেন, জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে কাজ পিছিয়ে গেছে। এখন কাজ প্রায় শেষের পথে। একমাসের মধ্যে স¤পূর্ণ কাজ শেষ হবে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি সুনামগঞ্জে যোগদান পর থেকে দেড় বছর ধরে দোয়ারাবাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের কাজে গতি পেয়েছে। এর আগে শুনেছি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। আমি যোগদান করেই এই কাজটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দিয়েছি। আমি আশাবাদী দুয়েক মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সড়ক নিরাপদ হবে কবে?

সড়ক নিরাপদ হবে কবে?