সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান নারী শিক্ষার উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সংস্কার! সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র ১৬৮ পিস ইয়াবাসহ রিকসাচালক গ্রেপ্তার সুবিপ্রবি’র স্থান পরিবর্তনের সুযোগ নেই : সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের মহান মে দিবস উদযাপিত তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখী হতে পারে কয়েক দফায় অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ সোমবার সকালে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া জামালগঞ্জে ধান কাটতে গিয়ে হাওরে বজ্রপাতে নিহত ১ আজ মহান মে দিবস সুনামগঞ্জে বজ্রপাত আতঙ্ক: দশ বছরে মৃত্যু দেড় শতাধিক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান শান্তির হাত বাড়াতে হবে, যুদ্ধের প্রস্তুতিও থাকতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়ন পরিষদের মানববন্ধন শেখ রেহানা, পুতুল, জয় ও ববির বাড়ি-সম্পদ জব্দের আদেশ চিন্ময় ব্রহ্মচারীর জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, ফের শুনানি ৪ মে উৎপাদন অনুযায়ী ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়নি, হতাশ হাওরাঞ্চলের কৃষক সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক

আবার জলাশয় শুকিয়ে মাছ নিধন : প্রশ্ন প্রশাসন কী করছে?

  • আপলোড সময় : ০৭-০২-২০২৫ ০১:১৫:৫১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০২-২০২৫ ০১:১৫:৫১ পূর্বাহ্ন
আবার জলাশয় শুকিয়ে মাছ নিধন : প্রশ্ন প্রশাসন কী করছে?
বিল শুকিয়ে মাছ নিধন নিয়ে গত বৃহস্পতিবারে (৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠে সংবাদ করা হয়েছে। শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, “জলাশয় শুকিয়ে অবাধে মাছ নিধন : ধ্বংস জীববৈচিত্র্য”। প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, “হাওরবেষ্টিত উপজেলা জামালগঞ্জে অসংখ্য ছোট বড় হাওর, নদী-নালা, খাল-বিল রয়েছে। এক সময় দেশীয় মাছে ভরপুর ছিল জামালগঞ্জ। রুই, কাতলা, চিতল, বোয়াল, শোল-গজার, কালি বাউশ, টেংরা, পাবদা, শিং-মাগুর ও বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছসহ অসংখ্য জীববৈচিত্র্য্যের ভা-ার ছিল উপজেলাটি। কিন্তু কালের বিবর্তনে এবং মনুষ্য সৃষ্ট কারণে হারিয়ে যাচ্ছে হাওরের দেশীয় মাছের ভা-ার। অনেক প্রজাতির মাছ এরই মধ্যে বিলুপ্তি হয়েছে। আরো অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। প্রতিবছর মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, চায়না দুয়ারীসহ কারেন্ট জাল ও বিল শুকিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে হাওরের মৎস্য ও জীববৈচিত্র্য। এখন দেশীয় মাছ ও শামুক-ঝিনুক, কচ্ছপসহ নানা প্রজাতির প্রাণী তেমনটা চোখে পড়ে না। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ইজারাদার ও সুবিধাভোগী দল সেলু মেশিন বসিয়ে বিল শুকিয়ে মাছ আহরণ করছে। এমনকি বিলের তলা শুকিয়ে কাদা মাটির গভীর থেকে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে মাছ বের করে বংশ নিপাত করছে। বিগত সরকার ব্যক্তির নামে ইজারা প্রথা বাতিল করে মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। যাতে করে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা সুবিধা ভোগ করে। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টো, মৎস্যজীবী সমিতির নামে বিল নিয়ে তৃতীয় পক্ষ হচ্ছে সুবিধাভোগী। নামমাত্র টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যায় অনেক সমিতি। বছরের পর বছর ধরে চলছে মৎস্য ও জীববৈচিত্র্য নিধন। প্রশাসনের চোখের সামনে মৎস্য আইন ভঙ্গ করে ছোট বড় সরকারি বিল শুকিয়ে মাছ আহরণ করছে সুবিধাভোগীরা। স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে দু-একটা অভিযান পরিচালনা করলেও তা ‘লোক দেখানো’। বর্তমান সরকারের আমলেও ধারাবাহিকভাবে বিল শুকানো চলমান রয়েছে।” প্রতিবেদন থেকে উক্ত বিবরণটুকু তুলে দেওয়ার পর সম্পাদকীয় মন্তব্য বিস্তারের যুক্তিসঙ্গত কোনও কারণ দেখি না। বুঝাই যাচ্ছে হাওরাঞ্চলের সর্বত্র এমন সর্বনাশা জীববৈচিত্র্য বিধ্বংসী কা-কারখানা অবাধে চলছে। প্রকৃতপ্রস্তাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোথাও কোনও প্রতিরোধ ও প্রতিকার বলে কীছু নেই, পত্রিকার পক্ষ থেকে কীছু প্রতিবাদ ছাড়া এবং যথারীতি এই প্রতিবাদ উপেক্ষিত হচ্ছে এবং আবার জলাশয় শুকিয়ে মাছ শিকারের প্রেক্ষিতে প্রশাসন কী করছে, জনমনে এবংবিধ প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা কেবল বলতে চাই যে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন ও সুবিধাভোগী শ্রেণির যোগসাজশে কাঠামোগত সহিংসতা চর্চার দিন শেষ হয়েছে, এবার এসবে ক্ষান্ত দেওয়াই অধিকতর মঙ্গল, অন্যথায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেয়ে আরও কঠিন কীছুর সম্মুখীন হতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স