দেখার হাওর
অক্ষত প্রকল্পে কোটি টাকা বরাদ্দ
- আপলোড সময় : ০৪-০৩-২০২৫ ১২:১৭:৪৮ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-০৩-২০২৫ ১২:১৭:৪৮ অপরাহ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলায় দেখার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের আস্তমা-ডাবর সেতু থেকে ৮টি প্রকল্পের সাতটিই ছিল অক্ষত। উথারিয়া নামক ক্লোজারটিই ছিল ভাঙ্গা। এখানে প্রায় কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে সরকারি বরাদ্দ নয়-ছয় হয়েছে। তারপরও এখনো কাজ শেষ করতে পারেনি পিআইসি।
সরেজমিন রবিবার সকালে উথারিয়া বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা মাটির কাজ করছেন। কেউ দুর্বাঘাস লাগাচ্ছেন। আস্তমা থেকে উথারিয়া পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায় তিনটি প্রকল্পই অক্ষত। উপরের অংশ ও স্লোবের অংশ নতুন দেখাতে বাঁধে অল্প মাটি ফেলা হয়েছে। বাঁধের আশপাশে সরকারি খাস জমি থেকে যে অল্প মাটি নিয়ে বাঁধে প্রলেপ দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠছে। একইভাবে মহাসিং নদীর অপর পাড়ের চারটি প্রকল্পেরও একই অবস্থা। সেখানেও অক্ষত প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কৃষক ও হাওর আন্দোলনের নেতাদের অভিযোগ এবার পিআইসি গঠনে সিন্ডিকেট করেন উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ারদের প্রভাবিত করে ঘরে বসিয়ে প্রিওয়ার্ক করিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করেন পাউবো’র এসও মমিন মিয়া। এই রিপোর্ট দেখিয়ে দেখার হাওরের শান্তিগঞ্জ অংশের অক্ষত ৮টি প্রকল্পে ১৬-৩০ লাখ পর্যন্ত প্রতিটি প্রকল্পে বরাদ্দ দেন। এছাড়াও পিআইসি দেবার নামে কয়েক দফা অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিল পরিশোধের সময়ও নির্দিষ্ট হারে এসওকে কমিশন দিতে হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মওসুমে এবার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৬৫টি প্রকল্পে প্রায় ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার পিআইসি গঠনের শুরু থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন শান্তিগঞ্জের সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, আস্তমা-ডাবর থেকে উথারিয়া বাঁধ পর্যন্ত ৮টির মধ্যে সাতটি প্রকল্পই অক্ষত ছিল। একবার ঘুরলেই বুঝা যায় প্রকল্পগুলোর প্রতিটিতেই মাটি ছিল। কিন্তু এই অক্ষত ও অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পেও বিপুল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দায়সারা মাটির কাজ করলেও এখনো দুর্বাঘাস লাগানো হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব স্টেশন অফিসার (এসও) মো. মমিন মিয়া বলেন, দেখার হাওরের ওই ৮টি প্রকল্পে মাটির কাজ শেষ। এখন দুর্বাঘাস লাগানো হচ্ছে। তবে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে। অক্ষত ও অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে বিপুল বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, সার্ভেয়ারদের রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে কোনও অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ