সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান নারী শিক্ষার উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সংস্কার! সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র ১৬৮ পিস ইয়াবাসহ রিকসাচালক গ্রেপ্তার সুবিপ্রবি’র স্থান পরিবর্তনের সুযোগ নেই : সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের মহান মে দিবস উদযাপিত তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখী হতে পারে কয়েক দফায় অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ সোমবার সকালে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া জামালগঞ্জে ধান কাটতে গিয়ে হাওরে বজ্রপাতে নিহত ১ আজ মহান মে দিবস সুনামগঞ্জে বজ্রপাত আতঙ্ক: দশ বছরে মৃত্যু দেড় শতাধিক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান শান্তির হাত বাড়াতে হবে, যুদ্ধের প্রস্তুতিও থাকতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়ন পরিষদের মানববন্ধন শেখ রেহানা, পুতুল, জয় ও ববির বাড়ি-সম্পদ জব্দের আদেশ চিন্ময় ব্রহ্মচারীর জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, ফের শুনানি ৪ মে উৎপাদন অনুযায়ী ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়নি, হতাশ হাওরাঞ্চলের কৃষক সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জামিনে মুক্ত

  • আপলোড সময় : ২৭-০৮-২০২৪ ০১:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৮-২০২৪ ০২:০১:৩০ পূর্বাহ্ন
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জামিনে মুক্ত
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জামিনে মুক্ত সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার রেজাউল করীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবী থানার পলাশনগরে নিজ বাড়ির সামনে ব্লগার রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রাজীবের বাবা পল্লবী থানায় মামলা করেন। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট জসীম উদ্দিন রাহমানীকে বরগুনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকার একটি আদালত ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনসহ মোট চারটি মামলা হয়। কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার রেজাউল করীম জানান, মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রাহমানীকে জামিন দেওয়া হয়। রবিবার (২৫ আগস্ট) আদালত থেকে তাকে জামিন দেয়। অন্য মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত ১৫ আগস্ট নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসিম উদ্দীন রহমানী প্যারোলে মুক্তি পেয়ে হেলিকপ্টারে বরগুনা গিয়ে বোনের জানাজায় অংশ নেন। এদিন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকাল ৯টায় তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। সকাল ১০টায় বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে জানাজা পড়ানো শেষে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়। প্যারোলে মুক্তি দেওয়া সংক্রান্ত চিঠি থেকে জানা যায়, গত বুধবার জসিম উদ্দীন রহমানীর বড় বোন বরগুনার বাসিন্দা মমতাজ বেগম (৬৫) মারা যান। এরপর নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বৃহ¯পতিবার সকালে তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জসিম উদ্দীন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় হেলিকপ্টারে বরগুনার সার্কিট হাউজ মাঠে অবতরণ করেন। পরে বোনের জানাজায় ইমামতি করেন। এরপর গাজীপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা নামাজের শুরুতে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে জসিম উদ্দীন রহমানী বলেন, আমি একজন মুসলিম, এটাই আমার বড় পরিচয়। কোনও দলের সঙ্গে কখনও জড়িত ছিলাম না। অথচ শেখ হাসিনার সরকার আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে রেখেছে। গ্রেফতারের আগে কখনও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নামও শুনিনি। ওই সংগঠনের প্রধান হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আমাকে বানিয়েছে খুনি, বানিয়েছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান। আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে এই টিমের অপবাদে জেল খাটিয়েছে, আমার ছোট ভাইয়ের ওপর চালিয়েছে অমানবিক নির্যাতন। একসময় সে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে। আমাকে বিনা অপরাধে ১২ বছর ধরে কারাগারে রাখছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। বোনের জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন এই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে পুলিশের নিরাপত্তায় জসিম উদ্দীনকে হেলিকপ্টারে বরগুনায় আনা হয়। পরে একইভাবে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, শীর্ষ একজন ‘জঙ্গি’র এভাবে জানাজায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তবে তিনি বা তার অনুসারীরা কীভাবে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছেন, তা জানা যায়নি। জসিম উদ্দীন বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নম্বর ইউনিয়নের হেউলিবুনিয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের ছেলে। জসিম উদ্দীনের ছোট ভাই আব্দুল জলিল বলেন, পারিবারিকভাবে আমরা কোনও কিছুর ব্যবস্থা করিনি। কে বা কারা ভাইকে হেলিকপ্টারে বরগুনায় আসতে দিয়েছেন, সে বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই। স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি মসজিদের খতিব ছিলেন জসিম উদ্দীন। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় তাকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন আদালত। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। যা এখনও বিচারাধীন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য