সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সংস্কার! সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র ১৬৮ পিস ইয়াবাসহ রিকসাচালক গ্রেপ্তার সুবিপ্রবি’র স্থান পরিবর্তনের সুযোগ নেই : সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের মহান মে দিবস উদযাপিত তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখী হতে পারে কয়েক দফায় অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ সোমবার সকালে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া জামালগঞ্জে ধান কাটতে গিয়ে হাওরে বজ্রপাতে নিহত ১ আজ মহান মে দিবস সুনামগঞ্জে বজ্রপাত আতঙ্ক: দশ বছরে মৃত্যু দেড় শতাধিক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান শান্তির হাত বাড়াতে হবে, যুদ্ধের প্রস্তুতিও থাকতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়ন পরিষদের মানববন্ধন শেখ রেহানা, পুতুল, জয় ও ববির বাড়ি-সম্পদ জব্দের আদেশ চিন্ময় ব্রহ্মচারীর জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, ফের শুনানি ৪ মে উৎপাদন অনুযায়ী ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়নি, হতাশ হাওরাঞ্চলের কৃষক সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ ভারতীয় মদসহ পিতা-পুত্র গ্রেপ্তার

টাঙ্গুয়ার পাড়ে রোপিত গাছ মারা যাচ্ছে, কর্তব্য কী?

  • আপলোড সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০২:২২:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৩-২০২৫ ০২:২২:১০ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গুয়ার পাড়ে রোপিত গাছ মারা যাচ্ছে, কর্তব্য কী?
গত বুধবারের (১২ মার্চ ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদশিরোনাম ছিল, ‘টাঙ্গুগুয়ার হাওরে অযত্নে মরছে বন বিভাগের বৃক্ষ’। অপূর্ব কথা এবং অবিশ্বাস্য। বন বিভাগের বৃক্ষ মারা পড়ছে অযত্নে-অবহেলায়। প্রতিবেদক জানাচ্ছেন, “টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন গোলাবাড়ি কান্দায় বন বিভাগ কর্তৃক ২৫ হেক্টর ভূমিতে লাগানো বৃক্ষ মারা যাচ্ছে। ভুল সময়ে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে বৃক্ষ লাগানো এবং পরিচর্যার অভাবে অযতেœ বৃক্ষগুলো মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা টাঙ্গুগুয়ার কান্দায় লাগানো বৃক্ষের পরিচর্যার দাবি জানিয়েছেন। সুনামগঞ্জ বন বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, মাস খানেক আগে জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন ভূমিতে টাঙ্গুয়ার হাওরের কান্দায় হিজল-করচের ৪০ হাজার বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার বৃক্ষ লাগানো হয়েছে।” গাছ লাগানোর পর যদি সেগুলো মারা যায় অর্থাৎ বাঁচানোর জন্যে কোনওরূপ যতœআত্তি করা না হয়, তবে গাছ লাগানোর দরকারটা বনায়নের স্থলে বনায়নের কর্মসূচিকে ব্যর্থ করে দিয়ে অর্থাৎ গাছ লাগিয়ে বাড়তি টাকা উপার্জন করা এবং গাছ মরে গেলে আবার গাছ লাগিয়ে টাকা উপার্জনের পথ খোলা রাখায় পর্যবসিত হয়। টাঙ্গুয়ারপাড়ে বনায়ন সৃষ্টির কর্মসূচি আপাতত এমনবিধ স্বার্থকতাকেই পতিপন্ন করছে, যে স্বার্থকতার একটাই অর্থ : অযতœ অবহেলায় গাছগুলো মরবে এবং অফিসে বসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আবার বনায়নের প্রকল্প সৃজনে সৃষ্টিশীল হয়ে উঠবেন, সরকার বনায়নের জন্য টাকা দেবেন, রোপণ করা গাছগুলো মরে গিয়ে সে-টাকার শ্রাদ্ধ করবে। এই খেলা চলতেই থাকবে। এটা ‘বাঁধ ভাঙা, বাঁধ দেওয়া, বাঁধ ভাঙা’ খেলার মতো ‘গাছ রোপণ, গাছ মরা, গাছ রোপণ’ খেলা। সত্যি অপূর্ব এক খেলার মতো খেলা বটে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের অভিমত এই যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মতো এবংবিধ সরকারি টাকা অপচয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব জরুরি, অন্যথায় এই প্রতিষ্ঠানটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করাই সবচেয়ে উত্তম, অন্তত সরকারি টাকা অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা যাওয়া যাবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স