সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর দুর্গম হাওরের ২২ হাজার শিশুকে সাঁতার শিখাচ্ছে সরকার পরবর্তীতে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হব : নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সুশীলা কার্কি আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মী নিহত সুশীলা কার্কিকে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা তাহিরপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তাহিরপুরে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সম্মেলন সম্পন্ন আইসিইউ চালু হবে কবে? জাতীয় নির্বাচনের ‘টেস্ট’ ছিল ডাকসু, ভালোভাবে উত্তরণ : প্রেস সচিব শস্যবীমা : কৃষক ও অর্থনীতির নিরাপত্তা কুরবাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন সম্পন্ন বিশ্বম্ভরপুরে বিএনপি নেতা অ্যাড. আব্দুল হকের গণসংযোগ নেই পোকামাকড়ের শঙ্কা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলনের সম্ভাবনা

ধর্ষণ নির্মূলের সূত্রপাত প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ১২:১৯:২৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ১২:১৯:২৮ পূর্বাহ্ন
ধর্ষণ নির্মূলের সূত্রপাত প্রসঙ্গে
ধর্ষণের প্রতিবাদ চলছে সমান তালে। গতকালের (১৫ মার্চ ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠে তিনটি ধর্ষণপ্রতিরোধী কর্মসূচির সংবাদ ছাপা হয়েছে। এ ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন পত্রিকাও বোধ করি পিছিয়ে নেই। দেশজুড়ে সর্বত্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের কর্মসূচি চলছে, দাবি উঠেছে ধর্ষককে মৃত্যুদ- দেওয়ার। দেশব্যাপী এই আলোড়ন হচ্ছে মাগুরার শিশুধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মনে হয়, অচিরেই এই আলোড়ন থেমে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই আলোড়ন থেমে গেলে পরে কী হবে? উত্তরটা খুবই সহজ। সমাজে আগের মতোই ধর্ষণ চলতে থাকবে, প্রতিরোধ হবে না এবং প্রতিকার দিল্লিদূরস্ত যথারীতি থেকেই যাবে, কোনও সুরাহা মিলবে না। ফের প্রতিবাদের ঝড় উঠবে এবং মিলিয়ে যাবে। দেশে ধর্ষণবিরোধী আইন আছে, সে-আইন থাকার পরও অবস্থার কোনও হেরফের ঘটবে বলে মনে হয় না। কারণ, অস্বীকার করার উপায় নেই, এই দেশে আইনের প্রয়োগ নিয়ন্ত্রিত হয়। কঠোরভাবে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে অপরাধ যেমন আইনের ফাঁকফোঁকড়ে চলতেই থাকে, তেমনি ধর্ষণও চলতেই থাকবে। অর্থাৎ মাগুরার শিশুধর্ষণের ঘটনাটির জের থিতিয়ে গেলে লোকে ভুলে যাবে ধর্ষণের বীভৎসতা ও ভয়াবহতাকে। অভিজ্ঞমহলের ধারণা, ধর্ষণের বীজ সমাজের মাটিতে বপনরোপণের অবকাশ রেখে দিয়ে যতোই প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক না কেন সমাজবাস্তবতার অংশ হিসেবে ধর্ষণ থেকেই যাবে, নির্মূল করা যাবে না। তবে ধর্ষণ প্রতিরোধে নারী-পুরুষের মর্যাদা সমান করে তোলতে হবে সর্বাগ্রে, যৌনতা নিয়ন্ত্রণের পরিসরে ধর্ষণের ঘটনায় নারী যতোটা অপমানিত হয় পুরুষকেও ততোটাই অপমানিত হতে হবে। সমাজমানসতায় তথা মানুষের চিন্তা ও উপলব্ধির জগতে ধর্ষণের বিষয়ে এবংবিধ ধারণাপ্রত্যয়ের উদ্রেক হলেই কেবল ধর্ষণ নির্মূলের সূত্রপাত ঘটবে, অন্যথায় নয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স