সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান নারী শিক্ষার উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সংস্কার! সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র ১৬৮ পিস ইয়াবাসহ রিকসাচালক গ্রেপ্তার সুবিপ্রবি’র স্থান পরিবর্তনের সুযোগ নেই : সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের মহান মে দিবস উদযাপিত তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখী হতে পারে কয়েক দফায় অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ সোমবার সকালে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া জামালগঞ্জে ধান কাটতে গিয়ে হাওরে বজ্রপাতে নিহত ১ আজ মহান মে দিবস সুনামগঞ্জে বজ্রপাত আতঙ্ক: দশ বছরে মৃত্যু দেড় শতাধিক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান শান্তির হাত বাড়াতে হবে, যুদ্ধের প্রস্তুতিও থাকতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়ন পরিষদের মানববন্ধন শেখ রেহানা, পুতুল, জয় ও ববির বাড়ি-সম্পদ জব্দের আদেশ চিন্ময় ব্রহ্মচারীর জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, ফের শুনানি ৪ মে উৎপাদন অনুযায়ী ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়নি, হতাশ হাওরাঞ্চলের কৃষক সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক

কৃষক নেতা আজাদ মিয়া হত্যা : বিচারের অপেক্ষায় ৬ বছর

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ০১:৩৪:৩২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ০২:৩০:০৫ পূর্বাহ্ন
কৃষক নেতা আজাদ মিয়া হত্যা : বিচারের অপেক্ষায় ৬ বছর
স্টাফ রিপোর্টার ::
কৃষক নেতা আজাদ মিয়া হত্যাকান্ডের ৬ বছর পার হলেও এখনো মামলার তদন্ত শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। গেল ৬ বছরে দুই দফা তদন্ত হলেও অদৃশ্য কারণে প্রতিবারই ঘটনার মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। প্রথম দফায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ এবং পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, সিলেট (পিবিআই) মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সনজুর মোর্শেদ শাহিন মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি নূরুল হক এবং উকিল আলীর নাম বাদ দিয়ে অপর ৩জনকে আসামি করে কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদনেও এজাহারভুক্ত আসামি নূরুল হক এবং উকিল আলীর নাম না থাকায় ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বাদীপক্ষ। নূরুল হক এবং উকিল আলী এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত মাস্টার মাইন্ড অভিযোগ করে মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই আজিজ মিয়া বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এবং এরা দুজন হচ্ছে এই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। আমরা সব ধরনের তথ্য-প্রমাণ পুলিশ এবং পিবিআইকে দিয়েছি। তারপরও কি কারণে কোন অদৃশ্য ইশারায় এদের দুজনকে আসামি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আমরা জানিনা। তবে এটা জানতাম যে আসামিরা খুবই প্রভাবশালী। তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপদস্থ কয়েকজন দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতা এবং আমলা আসামিপক্ষের নিকটাত্মীয় বিধায় মামলার তদন্তে তাদের প্রভাব থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। ৫ আগস্টের পর দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে আজিজ মিয়া বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতা এবং আমলারাও গা ঢাকা দিয়েছে। কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এবার মামলাটির অধিকতর তদন্ত হলে আমরা ন্যায়বিচার পাবো আশা করছি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ দিবাগত রাত দশটার দিকে বাসায় ফেরার পথে সুনামগঞ্জ শহরের পিটিআই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার শিকার হন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা আজাদ মিয়া। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ মার্চ তিনি মারা যান। পরের দিন ১৮ মার্চ নিহতের বড় ভাই আজিজ মিয়া বাদী হয়ে নূরুল হক, উকিল আলী, পাভেল আহমদ এবং রিপন মিয়া এই চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানাগেছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স