সুনামগঞ্জ , সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর দুর্গম হাওরের ২২ হাজার শিশুকে সাঁতার শিখাচ্ছে সরকার পরবর্তীতে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হব : নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সুশীলা কার্কি আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মী নিহত সুশীলা কার্কিকে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা তাহিরপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তাহিরপুরে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সম্মেলন সম্পন্ন আইসিইউ চালু হবে কবে? জাতীয় নির্বাচনের ‘টেস্ট’ ছিল ডাকসু, ভালোভাবে উত্তরণ : প্রেস সচিব শস্যবীমা : কৃষক ও অর্থনীতির নিরাপত্তা কুরবাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন সম্পন্ন বিশ্বম্ভরপুরে বিএনপি নেতা অ্যাড. আব্দুল হকের গণসংযোগ নেই পোকামাকড়ের শঙ্কা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলনের সম্ভাবনা

স্বস্তির বৃষ্টিতে সতেজ বোরো ধানের চারা, কৃষকের মুখে হাসি

  • আপলোড সময় : ১৮-০৩-২০২৫ ০৯:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৩-২০২৫ ০৯:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
স্বস্তির বৃষ্টিতে সতেজ বোরো ধানের চারা, কৃষকের মুখে হাসি
আশিস রহমান :: এবার বোরো মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন সুনামগঞ্জের বোরো ধান চাষীরা। বৃষ্টির অভাবে পানি শূন্যতায় হাওরের বোরো ধান ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। এতে ধানের ফলন কমে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলেন কৃষকরা। বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় শিরনি ও বিশেষ দোয়ার আয়োজনও করা হয়েছিল। শুধু বোরো ধান চাষীরাই নয়, তীব্র খরতাপে প্রকৃতিতেও এক ধরনের অস্বস্তিকর রুক্ষতা বিরাজ করছিল। তবে গত শুক্রবার ও শনিবার স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ায় খুশি কৃষকরা। বৃষ্টির পানিতে এখন টুইটুম্বুর হাওরের বোরো ফসলি জমি। দীর্ঘদিন পর পানি পেয়ে সতেজ হয়ে উঠেছে বোরো ধানের চারা। কৃষকরা জানান, এতোদিন পানির অভাবে ধানের চারা শুকিয়ে মারা যাওয়ার অবস্থায় ছিল। তবে গত দুইদিনের বৃষ্টিতে এখন আবার বোরো ধান ক্ষেত নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। পানির অভাব অনেকটাই পূরণ হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বোরো চাষি কাজল মিয়া বলেন, বৃষ্টির জন্য আমরা দোয়া করেছিলাম। বৃষ্টি হওয়ায় এখন আমরা খুব খুশি। এতে ধানের চারা তাড়াতাড়ি বড় হবে। পানির জন্য আর টেনশন করা লাগবেনা। একই গ্রামের কৃষক আনু মিয়া বলেন, এবছর শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলি জমি শুকিয়ে গেছে, খাল বিলেও এবার পানি পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি হওয়ায় গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে। কানলার হাওরের কৃষক দ্বীন ইসলাম বলেন, এখন আর টাকা খরচ করে পানি দেওয়া লাগবে না। বৃষ্টি না হলে পানির জন্য বাড়তি টাকা খরচ করা লাগতো। তিনি আরো বলেন, এতোদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়ের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এখন ফসলের বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর পোকা মারা যাবে। দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, হাওরপাড়ের মানুষের আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি। বোরো ধানকে ঘিরেই নতুন বছরে বৈশাখী উৎসবে মেতে উঠার স্বপ্নে বিভোর থাকেন কৃষকেরা। বোরো ধানের ফসলের ভালো উৎপাদনের জন্য বৃষ্টির খুব প্রয়োজন ছিলো। সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ভালো উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে। এবার উপজেলা জুড়ে বোরো ধান আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ৯০১ হেক্টর। দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ মহসিন বলেন, বোরো ধানে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা এবার যতটুকু নির্ধারণ করা হয়েছিল তা পূরণ হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধানের চারা এখন সতেজ হয়েছে। আমরা আশাবাদী এই বৃষ্টিতে বোরোধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স