সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান নারী শিক্ষার উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সংস্কার! সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র ১৬৮ পিস ইয়াবাসহ রিকসাচালক গ্রেপ্তার সুবিপ্রবি’র স্থান পরিবর্তনের সুযোগ নেই : সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের মহান মে দিবস উদযাপিত তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখী হতে পারে কয়েক দফায় অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ সোমবার সকালে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া জামালগঞ্জে ধান কাটতে গিয়ে হাওরে বজ্রপাতে নিহত ১ আজ মহান মে দিবস সুনামগঞ্জে বজ্রপাত আতঙ্ক: দশ বছরে মৃত্যু দেড় শতাধিক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান শান্তির হাত বাড়াতে হবে, যুদ্ধের প্রস্তুতিও থাকতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়ন পরিষদের মানববন্ধন শেখ রেহানা, পুতুল, জয় ও ববির বাড়ি-সম্পদ জব্দের আদেশ চিন্ময় ব্রহ্মচারীর জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, ফের শুনানি ৪ মে উৎপাদন অনুযায়ী ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়নি, হতাশ হাওরাঞ্চলের কৃষক সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক

স্বৈরশাসক ফিরে আসার পথ বন্ধ করা প্রসঙ্গে

  • আপলোড সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০১:২২:১০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৩-২০২৫ ০১:২২:১০ পূর্বাহ্ন
স্বৈরশাসক ফিরে আসার পথ বন্ধ করা প্রসঙ্গে
গতকালের (১৯ মার্চ ২০২৫) দৈনিক সুনামকণ্ঠের দুইটি সংবাদশিরোনাম ছিল : ‘স্বৈরশাসক ফিরে আসার সমস্ত পথ বন্ধ করতে হবে : অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের’ ও ‘শেখ হাসিনা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা জব্দ’। এই দুইটি সংবাদশিরোনামে বিবৃত প্রথমটিতে ‘স্বৈরশাসক’ ও দ্বিতীয়টির মর্মার্থে বিধৃত ‘একটি পরিবারের আর্থিক সঞ্চয় ৩৯৮ কেটি টাকা’ এই দুইটি প্রপঞ্চ বা সমাজবাস্তবতা পরস্পরের সঙ্গে আবিচ্ছেদ্যভাবে সংশ্লিষ্ট। একটি অন্যটির উপর নির্ভরশীল অর্থাৎ পরিপূরক। একটির অভাবে অন্যটি আবির্ভূত হয় না। এই দুটি প্রপঞ্চ একটি মূর্তনির্দিষ্ট আর্থনীতিক নিয়মের ঐতিহাসিক পরিণতি। এই পরিণতিকে প্রতিরোধ করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে বার বার ভিন্ন ভিন্ন দেশে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে, স্বৈরশাসনের প্রবণতাকে বিনাশ করতে বিপ্লব হয়েছে, কিন্তু কালচক্রের আবর্তে পড়ে প্রতিবিপ্লব হয়েছে এবং যথারীতি আবার স্বৈরশাসন ফিরে এসেছে। এই বিপ্লব কিংবা প্রতিবিপ্লব এক শ্রেণির মানুষই করেছে অন্য শ্রেণির মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে এবং প্রকারান্তরে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, পৃথিবীতে মানুষই মানুষের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আছে উৎপাদিত সম্পদের উপর ব্যক্তিগত মালিকানা উদ্ভবের কাল থেকে আজ পর্যন্ত। মানুষের বিরুদ্ধে মানুষের এই উত্থানের মূলে কাজ করে মানুষের চেতনায় বদ্ধমূল হয়ে থাকা উদ্বৃত্তশ্রম বা উদ্বৃত্তসম্পদ আত্মসাতের প্রবণতা এবং এই প্রবণতাকে সার্থক করে তোলে প্রতিষ্ঠিত আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকাঠামো, যে ব্যবস্থাকাঠামোটি আসলে সম্পদ আত্মসাতের একটি অনুকূল সমাজসাংস্থিতিক পরিসর। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার এখানে অবকাশ নেই। কেবল বলি রাষ্ট্রশাসনের পরিসরে স্বৈরশাসকের আবির্ভাবকে বন্ধ করতে হলে সমাজপরিসরে জায়মান উদ্বৃত্তশ্রম আত্মসাৎ অর্থাৎ শ্রমশোষণ অথবা শ্রেণিশোষণের আর্থনীতিক প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করতে হবে। তাহলেই কোনও ব্যক্তি বা পরিবার এককভাবে ৩৯৪ কোটি টাকার মালিক হতে পারবে না এবং স্বৈরশাসক হওয়ারও আশঙ্কা একেবারেই দূরিভূত হয়ে গণতান্ত্রিকতা ফিরে আসবে। ভুলে গেলে চলবে না, সঞ্চিত সম্পদ পুঁজি হয়ে উঠে সমাজশাসনের ক্ষমতার উদ্ভব ঘটায় এবং স্বৈশাসনের পথ নিষ্কণ্টক করে পুঁজির প্রভুত্বকে নিশ্চিত করে তোলে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স