সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫ , ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সড়ক নিরাপদ হবে কবে? গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তিতে গ্রাফিতি প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন দুই শিক্ষার্থী সিলেট বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজের চাকা ফেটে কর্মচারী নিহত দেশে যেন উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে : তারেক রহমান পিকআপ-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত জামালগঞ্জের ৬ ইউনিয়নে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘিরে সমালোচনা বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে : আনিসুল হক হাওরের উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা চাই: সালেহিন চৌধুরী শুভ ১০২ এসিল্যান্ড বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সাচনা বাজারের হাসপাতাল চালুর দাবি অদম্য মেধাবী অর্পা’র স্বপ্নযাত্রা কি থেমে যাবে? গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে : প্রধান উপদেষ্টা সাগরপথে ইউরোপে যান সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’দের বিক্ষোভ জগন্নাথপুরে ৩ আসামি গ্রেফতার হাওরে পানি নেই, সংকটে কৃষি ও মৎস্য সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিভে গেল আরও এক শিক্ষার্থীর জীবন প্রদীপ খেলাধুলাই পারে মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে : কয়ছর এম আহমদ

দেশের মানুষ ইসলামের শাসন দেখবে: চরমোনাই পীর

  • আপলোড সময় : ১২-০৪-২০২৫ ০৮:২৪:০১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৪-২০২৫ ০৮:২৪:০১ পূর্বাহ্ন
দেশের মানুষ ইসলামের শাসন দেখবে: চরমোনাই পীর
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশের মানুষ বিভিন্ন দলের বিভিন্ন ধরনের শাসন দেখেছে। বাকি রয়েছে ইসলামের শাসন দেখা। তিনি বলেছেন, অনেকেই ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। যে যতো স্বপ্নই দেখুক না কেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে বাইপাস করে ক্ষমতায় যাওয়া কঠিন। মুফতি রেজাউল করীম শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে যশোর ঈদগাহে দলের জেলা শাখা আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন যশোর জেলা সভাপতি মিয়া মুহাম্মদ আব্দুল হালিম। মুফতি রেজাউল করীম বলেন, বিভিন্ন সময় শাসক গোষ্ঠী আলেমদের বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়েছে, ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে। একমাত্র ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধোঁকায় পড়েনি। ইসলাম নামক নীতি-আদর্শ যতক্ষণ বাংলার মাটিতে শক্তিশালী না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই জাতির কল্যাণ আসতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা কখনই ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হবো না। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদ, ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ঘোষণা, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন এবং কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। মুফতি রেজাউল করীম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা এই দেশে বাস্তবায়িত হতে দেখিনি। বরঞ্চ এদের পরিচালনায় চুরি-দুর্নীতিতে দুনিয়ার মধ্যে দেশ পাঁচবার প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এদের পরিচালিত রাষ্ট্রব্যবস্থায় ঘরের ভেতরে মানুষ খুন হতে দেখেছি। হাজার হাজার মা সন্তানহারা হয়েছে। অনেক সন্তান এতিম হয়েছে। মেহনতি মানুষের স¤পদ বিদেশে পাচার করে তারা ধনী হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট, বিদেশের তাবেদার, এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী, ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা গত বছরের ৫ আগস্ট বিতাড়িত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ন্যায্য দাবি আদায়ে রাস্তায় নামায় তাদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। একমাত্র রাজনৈতিক দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সেই সময়ে ঘোষণা দিয়ে সংগ্রামে নেমেছিল। সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আরও বলেন, দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের দলের একজনও সংসদে যায়নি। তার মানে কি আমাদের শক্তি নাই? আমাদের দল দুর্বল? কোনো ধান্ধাবাজদের সংসদের যাওয়ার কোনো সিঁড়ি হয়নি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আর হবেও না। আমরা আওয়ামী লীগের শাসনও দেখেছি, বিএনপির শাসনও দেখেছি, জাতীয় পার্টিকে দেখেছি। আপনাদের এখন ইসলামের শাসন দেখা বাকি। বিগত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই জনগণের ইচ্ছাকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে চায় দেশের জনগণ। জনসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক স¤পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা মো. শোয়াইব হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফারুক আহমাদ, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক স¤পাদক (খুলনা বিভাগ) অ্যাডভোকেট নূর ইসলাম নূরুল, অধ্যক্ষ নাজমুল হুদা, অ্যাডভোকেট বায়েজিদ হুসাইন প্রমুখ। জনসমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সড়ক নিরাপদ হবে কবে?

সড়ক নিরাপদ হবে কবে?