সুনামগঞ্জ , শনিবার, ০৩ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান নারী শিক্ষার উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সংস্কার! সীমান্তে সক্রিয় গরু চোরাচালান চক্র ১৬৮ পিস ইয়াবাসহ রিকসাচালক গ্রেপ্তার সুবিপ্রবি’র স্থান পরিবর্তনের সুযোগ নেই : সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের মহান মে দিবস উদযাপিত তাপপ্রবাহ ও কালবৈশাখী হতে পারে কয়েক দফায় অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ সোমবার সকালে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া জামালগঞ্জে ধান কাটতে গিয়ে হাওরে বজ্রপাতে নিহত ১ আজ মহান মে দিবস সুনামগঞ্জে বজ্রপাত আতঙ্ক: দশ বছরে মৃত্যু দেড় শতাধিক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান শান্তির হাত বাড়াতে হবে, যুদ্ধের প্রস্তুতিও থাকতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়ন পরিষদের মানববন্ধন শেখ রেহানা, পুতুল, জয় ও ববির বাড়ি-সম্পদ জব্দের আদেশ চিন্ময় ব্রহ্মচারীর জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, ফের শুনানি ৪ মে উৎপাদন অনুযায়ী ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়নি, হতাশ হাওরাঞ্চলের কৃষক সুরমা’র গ্রাসে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি-সড়ক

ডিম-মুরগির দামে ‘করপোরেট কারসাজি’, মে থেকে প্রান্তিক খামার বন্ধের ঘোষণা

  • আপলোড সময় : ১৮-০৪-২০২৫ ০১:২৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৪-২০২৫ ০১:২৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
ডিম-মুরগির দামে ‘করপোরেট কারসাজি’, মে থেকে প্রান্তিক খামার বন্ধের ঘোষণা
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: ডিম ও মুরগির উৎপাদন ও দামে করপোরেট কারসাজির অভিযোগ এনে আগামী ১ মে থেকে দেশের সকল প্রান্তিক খামার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার এ সিদ্ধান্ত জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত দুই মাসে প্রান্তিক খামারিরা ডিম ও মুরগি খাতে প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার লোকসানে পড়েছেন। শুধু রমজান ও ঈদ মৌসুমে প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করে প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা করে লোকসান হয়েছে ৯০০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া প্রতিদিন উৎপাদিত ৪ কোটি ডিমের মধ্যে ৩ কোটি ডিম প্রান্তিক খামারিরা সরবরাহ করেন, যেখানে প্রতি ডিমে ২ টাকা করে লোকসান দিয়ে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আরও ৩৬০ কোটি টাকায়। তিনি অভিযোগ করেন, করপোরেট কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। শুধু খাবার, বাচ্চা ও ওষুধই নয়, ডিম ও মুরগির বাজারের দামও তারা ঠিক করে দিচ্ছে। এতে খামারিরা বাধ্য হচ্ছেন লোকসানে উৎপাদন চালিয়ে যেতে বা ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’-এর শর্ত মেনে নিতে। সুমন হাওলাদার বলেন, আমরা করপোরেট দাসত্ব মানবো না। যতদিন না সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, ততদিন এই কর্মসূচি চলবে। তিনি আরও জানান, ঈদের আগে ২৮-৩০ টাকায় উৎপাদিত বাচ্চা করপোরেট কোম্পানিগুলো ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করেছে। এখন সেই বাচ্চার দাম নেমে এসেছে ৩০-৩৫ টাকায়। অথচ প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ১৬০-১৭০ টাকা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়। একইভাবে, ১০ থেকে ১০.৫০ টাকায় উৎপাদিত ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ৮.৫০ টাকায়, যা প্রান্তিক খামারিদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স