সুনামগঞ্জ , সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর দুর্গম হাওরের ২২ হাজার শিশুকে সাঁতার শিখাচ্ছে সরকার পরবর্তীতে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হব : নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সুশীলা কার্কি আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মী নিহত সুশীলা কার্কিকে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা তাহিরপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তাহিরপুরে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সম্মেলন সম্পন্ন আইসিইউ চালু হবে কবে? জাতীয় নির্বাচনের ‘টেস্ট’ ছিল ডাকসু, ভালোভাবে উত্তরণ : প্রেস সচিব শস্যবীমা : কৃষক ও অর্থনীতির নিরাপত্তা কুরবাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন সম্পন্ন বিশ্বম্ভরপুরে বিএনপি নেতা অ্যাড. আব্দুল হকের গণসংযোগ নেই পোকামাকড়ের শঙ্কা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলনের সম্ভাবনা
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

নিয়োগে অনিয়মের মামলায় সাবেক উপাচার্যসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

  • আপলোড সময় : ২২-০৪-২০২৫ ১২:৩৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৪-২০২৫ ১২:৩৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
নিয়োগে অনিয়মের মামলায় সাবেক উপাচার্যসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার দুপুরে সিলেট মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামানের কাছে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসাইন। অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দুদক সিলেটের আদালত পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, কোনো ধরনের নিয়োগবিধি অনুসরণ না করে প্রার্থীদের বয়স ও যোগ্যতার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউজিসি ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর নিয়োগ-বাণিজ্যের বিষয়ে তদন্ত করে। তদন্তে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনটি দুদক সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয় অভিযোগ আকারে নিয়ে তৎকালীন উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল মামলা করে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে সিন্ডিকেট ও ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২২০ জনকে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে (অ্যাডহক) ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে মেয়াদ অনূর্ধ্ব ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়। নির্ধারিত সময় পূর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিয়মিত না করে আবার অ্যাডহকে দুই থেকে পাঁচবার পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৮ -এর ১২-এর ১০ উপধারা অনুযায়ী, উপাচার্য কোনো শূন্য পদে অ্যাডহক নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে অনধিক ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দিতে পারবেন এবং প্রয়োজনে মেয়াদ অনূর্ধ্ব ছয় মাস পর্যন্ত বাড়াতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে হয় চাকরি নিয়মিত করতে হবে অথবা অব্যাহতি দিতে হবে। কোনোভাবেই আবার অ্যাডহকে নিয়োগ বা মেয়াদ বাড়াতে পারবেন না। তবে তৎকালীন উপাচার্য আইন লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অ্যাডহক নিয়োগ দেন এবং অবৈধভাবে মেয়াদ বাড়ান। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তাঁকে ওই কাজে সহযোগিতা করেন। ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া নিয়োগের পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বাজেট থেকে বেআইনিভাবে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত আছেন ২৩৯ জন। এর মধ্যে ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত পদ আছে ১১২টি। এসব অনুমোদিত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৯৮ জনকে। তাদের বেতন-ভাতা ইউজিসি থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। অন্যদিকে অতিরিক্ত ১৪১টি পদে নিয়োগ দেওয়া হলেও ইউজিসির অনুমোদন নেওয়া হয়নি এবং তাদের বেতন-ভাতা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুদান থেকে প্রাপ্ত। এসব অতিরিক্ত নিয়োগের ব্যাপারে ইউজিসি কিংবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এটা স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া নিয়োগে ৪৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বয়স-সংক্রান্ত যোগ্যতা না থাকলেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগদান, শিক্ষাগত যোগ্যতায় তৃতীয় শ্রেণি থাকা সত্ত্বেও চারজনকে নিয়োগ এবং অ্যাডহকে নিয়োগ দেওয়া সত্ত্বেও ৩ কর্মকর্তাকে দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে এবং ৭ কর্মকর্তাকে ১৪তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুজন কর্মকর্তার সংশ্লিষ্ট পদে চাহিদা মোতাবেক ডিগ্রি না থাকলেও অবৈধভাবে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ‘শুরুতেই নিয়োগে বড় ধরনের অনিয়ম’ শিরোনামে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে ইউজিসির অনুমোদনের বাইরে অতিরিক্ত ১০৯ জনের নিয়োগ দেওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়। অস্থায়ীভাবে দেওয়া এসব নিয়োগে উপাচার্যের স্বজন থেকে শুরু করে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সংসদ সদস্যের স্বজনেরা আছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স