কানলার হাওরে কৃষক সমাবেশ
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান
- আপলোড সময় : ৩০-০৪-২০২৫ ১১:০৯:১৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩০-০৪-২০২৫ ১১:০৯:১৫ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
আগামী ৪-৬ মে ২০২৫ ইতালির মিলানে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক-এর ৫৯তম বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভা সামনে রেখে বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে গণমুখী ও পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগের দাবিতে প্রতিবাদী সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের কালনার হাওরে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের প্রতিবাদী জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।
হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি (হাউস), ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক) এবং বিডাব্লিউজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এর যৌথ উদ্যোগে উক্ত সমাবেশে ধান কাটা বন্ধ রেখে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকেরা যোগ দেন। এতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এর ফসিল ফুয়েল ও এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) প্রকল্পে বিনিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়।
হাউসের নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ বলেন, এডিবি ২,৮৮৪.৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৪.৮৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে ৮২.৯ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পে, মাত্র ২.৫৫ শতাংশ সৌরবিদ্যুতে এবং বায়ু বিদ্যুতে এখনো কোনো বিনিয়োগ হয়নি। প্রতি মেগাওয়াট জীবাশ্ম জ্বালানির প্রকল্পে গড় বিনিয়োগ ২.০৪ মিলিয়ন ডলার, যেখানে সৌরবিদ্যুতে মাত্র ০.৫১ মিলিয়ন ডলার।
একইভাবে এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেগুলো গ্যাসের অভাবে অচল সম্পদে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে সরকারকে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই বিপুল অঙ্কের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে বাধ্য হতে হবে।
প্রতিবেশ ও উন্নয়নে তারুণ্যের সভাপতি ফারুক আহমদ বলেন, বিশ্ব যখন নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এডিবি’র ফসিল ফুয়েল প্রকল্পে বিনিয়োগ করা জলবায়ু সংকটকে আরও তীব্র করছে এবং বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করছে।
সমাবেশে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে অগ্রাধিকারমূলক বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে এডিবিকে আহ্বান জানানো হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ