সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন তৎকালীন আইজিপির বর্ণনায় ৫ আগস্ট সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন জামালগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা : রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই : জেলা প্রশাসক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা প্রকৌশলী কামরুল হকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থাকবে নৌ ও বিমান বাহিনী সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল উদ্বোধন অকেজো ১০ হাজার নলকূপ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ জামালগঞ্জে যুবদলের কর্মী সমাবেশে কৃষক লীগ নেতা! ‎সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নতুন সভাপতি শামস শামীম, সম্পাদক জসিম মাছশূন্য হাওর, সংকটে জল-জীবিকা ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়ক বেহাল : দুর্ভোগে হাজারো মানুষ ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

পথে যেতে যেতে: পথচারী

  • আপলোড সময় : ০৬-০৫-২০২৫ ০৭:১০:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৫-২০২৫ ০৭:১৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
পথে যেতে যেতে: পথচারী
১ মে ছিল শ্রমিক দিবস। এই দিন সরকারি ছুটি। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এই দিনে সাধারণ ছুটি পালন করা হয়ে থাকে। কলে কারখানায় কাজ বন্ধ রাখে শ্রমিকরা। তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করলেও তার সঠিক মজুরি পায় না। এটি তাদের উপর এক অবিচার।
এমন এক সময় ছিল যখন শ্রমিকরা ১৮ ঘণ্টাই কাজ করতো কোনো বিরতি ছাড়াই। তাই শ্রমজীবী মানুষ দিনে দিনে তাদের অধিকার বিষয়ে সচেতন হয়ে ওঠে। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে এভাবে মালিকরা শোষণ করতো সাধারণ শ্রমিকদের। ১৮৮১ খ্রি. ‘আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার’ এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচি দেয়। কিন্তু মালিক পক্ষ এতে কর্ণপাত করে না। শ্রমিকরা তাই বিভিন্ন দাবিতে নতুন নতুন কর্মসূচি পেশ করে। দিনে দিনে শ্রমিকদের এই দাবির প্রতি সমর্থন বাড়তে থাকে।

এক পর্যায়ে ১৮৮৬ সালের ১ মে এক বিশাল জমায়েতের ডাক দেয় শ্রমিকরা। এই জমায়েত কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। এতে বেশকিছু শ্রমিক পুলিশের গুলিতে আহত হয়। তাই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের আনাচে-কানাচে। সচেতন হয় বিশ্বের শ্রমিক সমাজ। ওই সময় সমাবেশে দাবি ছিল ৮ ঘণ্টা কাজ, ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম ও ৮ ঘণ্টা বিনোদন। চারিদিকে এই দাবির প্রতি জোরালো সমর্থন বাড়তে থাকে।

জানাযায়, ১৮০০ সালের সমাবেশে প্রায় ৫ লক্ষ লোক জড়ো হয়। সেদিন পুলিশ গুলি চালালে বেশকিছু শ্রমিক হতাহত হয়। ৩ মে ম্যাক কর্মিক হারভেস্টার কারখানায় পুলিশ হামলা চালালে ৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারায়। এভাবে দিনে দিনে কর্মসূচি চলতে থাকে।
এরপর ৪ মে হে মার্কেটের স্কয়ারে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে শ্রমিকরা। বেশকিছু শ্রমিক পুলিশের গুলিতে হতাহত হয়। সমাবেশ থেকে ৪ জন শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সরকারের বিচারে গ্রেফতাকৃত শ্রমিকদের ফাঁসির আদেশ হয়। এর প্রতিবাদে আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের শ্রমিকরা ফুঁসে ওঠে।

১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এই সম্মেলনেও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়। এটি ছিল ফরাসী বিপ্লবের ১০০ বছর পূর্তি। শ্রমিকরা সেই আন্দোলনে তাদের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়। শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে ‘ট্রেড ইউনিয়ন’ গঠন করলেও সেই দাবি ঠিক তেমন জোরালো হচ্ছিল না।
এর ধারাবাহিকতায় ১৯০৪ খ্রি. আমস্টারডাম শহরে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ উপলক্ষে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। ঐ প্রস্তাবে বিশ্বজুড়ে সব শ্রমিক সংগঠন ১ মে বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে সারা বিশ্বে দিনটি মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
মে দিবসের আন্দোলন মানেই হচ্ছে শ্রমজীবী আন্দোলন। শ্রমজীবী মানুষের সম্মিলিত সংগঠন যা তাদের ভাগ করা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে পারে।

বাংলার শ্রমিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় আব্দুল মোমিনকে। তার জন্ম ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ অক্টোবর এবং মৃত্যু ১৯৮৩ সালে। ভারতীয় শ্রমিক আন্দোলনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয় বাল গঙ্গাধর তিলক এবং লালা রাজনাথ রায়ের নেতৃত্বে। সে সময় গঠিত হয়েছিল ‘সর্ব ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন’। এই সংগঠন ভারতের শ্রমিক সমাজকে সর্বক্ষেত্রে সংগঠিত করেছিল। বাংলাদেশেও অনুরূপ শ্রমিক সংগঠন তৈরি হয়েছে। তবে তা হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নিজস্ব মতধারায় শ্রমিকদের ব্যবহার করেছে। ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন তাই নিজস্ব ধারায় সামনে এগিয়ে যেতে পারেনি। যার ফলে শ্রমিকরা রয়েগেছে সমস্যার আড়ালে। প্রতি বছর তাই মে দিবস আসে এবং চলেও যায়। কিন্তু তা বাস্তবে কোন ভূমিকা পালন করতে পারে না।
১৮৮৬ সালে যে আদর্শকে সামনে রেখে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু করেছিল আজও তা বাস্তবে রূপ লাভ করতে পারেনি। আমরা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের পক্ষে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন

দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন