সুনামগঞ্জ , রবিবার, ১১ মে ২০২৫ , ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে ভারত পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সুবিপ্রবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ছাতক-দোয়ারাবাজারে লিচুর বাম্পার ফলন, চাষীদের মুখে হাসি জেলা জামায়াতের লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ সেলিনা হায়াৎ আইভী কারাগারে ধানের পর খড়ের জন্য কৃষকের ব্যস্ততা সংগ্রহ হবে আড়াইশ কোটি টাকার গো-খাদ্য সুরমা গিলছে বসতভিটা-কৃষিজমি আতঙ্কে মাছিমপুর গ্রামের মানুষ জামালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আনফর আলী গ্রেফতার হাওরের সমস্যা সমাধানে স্থায়ী উদ্যোগ নেয়া হবে : যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল আরিফ আ.লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপি’র সদস্য হতে বাধা নেই : রিজভী দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বম্ভরপুর ইউএনও’র পদত্যাগ দাবিতে লংমার্চ হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে গেল স্বামী চলতি মাসে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশে ২৩টি মিটিং করেছে : হাসনাত আব্দুল্লাহ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা পুলিশের কল্যাণ ও অপরাধ বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত গোলা ভরে ধান তুলে স্বস্তিতে কৃষক সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ভারত ও পাকিস্তান

সিলেটে আইনজীবী পিতাকে খুন : পুত্রসহ তিনজনের মৃত্যুদন্ড

  • আপলোড সময় : ০৭-০৫-২০২৫ ০৮:৩৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৫-২০২৫ ০৮:৩৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
সিলেটে আইনজীবী পিতাকে খুন : পুত্রসহ তিনজনের মৃত্যুদন্ড
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলার ১৩ বছর ৯ মাস পর ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যুদ-ের রায় দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি একজনকে তিন বছরের কারাদ- ও একজনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট ডিভিশনাল স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ)-এর বিচারক মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রামাণিক এ রায় দেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আবদুল মুকিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১১ সালের ১৭ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন শামসুল হক। পরে জানা যায়, স¤পত্তির লোভে তাঁর ছেলেসহ কয়েকজন মিলে তাঁকে সুরমা নদীতে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। মৃত্যুদ- পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন শামসুল ইসলাম চৌধুরীর ছোট ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জাহের আলী ও ছাতকের আনসার আহমেদ। মৃত্যুদ-ের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদ-, মামলার আলামত নষ্ট করার অভিযোগে প্রত্যেকের তিন বছরের কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিনকে একই ধারায় তিন বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে এবং অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে মাসুদ আহমদ চৌধুরী ও জাহের আলী আগে থেকে পলাতক। অন্য আসামিরা জামিনের পর থেকে পলাতক। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই থেকে আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরী নিখোঁজ আছেন জানিয়ে ১৮ জুলাই সিলেটের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর ছোট ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী। তবে ২২ জুলাই থেকে তিনি নিজেও নিখোঁজ হন। পরবর্তী সময়ে শামসুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী ওই বছরের ৪ আগস্ট ছোট ভাই মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৫ মে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মাসুদ আহমদ চৌধুরী স¤পত্তির লোভে বাবাকে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় তাঁদের বাড়ি থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে ফেলে দেন। সিলেটে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন প্রামাণিক তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘পৃথিবীতে বাবা-ছেলের মধুর স¤পর্ক থাকে। বৃদ্ধ বয়সে এসে বাবা ছেলের সহায়তা চেয়ে থাকেন। সে অবস্থায় তাকে জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে হত্যা করা হয়। এই রায়ের মাধ্যমে নির্মম হত্যাকা-ে জড়িতরা সাজা পাবেন।’ বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. আনছারুজ্জামান জানান, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে নামাজরত অবস্থা প্রবীণ আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে তার ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না পেছন থেকে প্রথমে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে আইনজীবী শামসুল ইসলামকে অচেতন অবস্থায় গাড়িতে তুলে সুনামগঞ্জের ছাতকের মল্লিকপুর এলাকার সুরমা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর সুনামগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে সুরমা নদীতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় মুন্নাকে তার গাড়িচালকসহ তিন জন সহযোগিতা করেন। তিনি আরও জানান, মামলার রায়ে ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না, তার সহযোগী জাহের আলী ও আনসার আহমদকে মৃত্যুদ- এবং গাড়িচালক বোরহান উদ্দিনকে তিন বছরের সাজা দেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। নিহত অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম চৌধুরীর চার মেয়ে দুই ছেলে। বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী এই মামলার বাদী।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য