সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

হাওরাঞ্চলে আরো প্রকল্প নেওয়া প্রয়োজন : জেলা প্রশাসক

  • আপলোড সময় : ০৯-০৫-২০২৫ ১০:০৫:১১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৫-২০২৫ ১০:০৫:১১ পূর্বাহ্ন
হাওরাঞ্চলে আরো প্রকল্প নেওয়া প্রয়োজন : জেলা প্রশাসক
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জে জলবায়ু সহনশীলতা এবং টেকসই কমিউনিটি উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে “ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর সাসটেইনেবল কমিউনিটি লাইফ ইন দি হাওর রিজিয়ন অফ বাংলাদেশ” প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ইনিশিয়েটিভ (ইকি) স্মল গ্রান্টস প্রোগ্রামের অর্থায়নে সুনামগঞ্জের জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ হাওর অঞ্চলে বাস্তবায়িত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার এফআইভিডিবি’র প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাপ্ত হওয়া প্রকল্পটি কমিউনিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে জি আই জেড-এর প্রতিনিধি ফাইজা বুশরার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো হাওর অঞ্চলের গ্রামীণ বসতি ও কৃষিকাজের ওপর দিন দিন ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। তিনি এ ধরনের জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনমূলক উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও তিনি এ ধরনের উদ্যোগের সম্প্রসারণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অবদান রাখার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের জলবায়ু হট¯পটের একটি হাওর অঞ্চল, যেখানে আকস্মিক বন্যা বা আফালের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) হাওর অঞ্চলের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি এলাকাকে চিহ্নিত করে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। টিএমএসএস, এফআইভিডিবি এবং পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রকল্পের আওতায় তিনটি ইউনিয়নে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ, টেকসই জীবিকা নির্বাহে সহায়তা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। জেলার দিরাই এবং জামালগঞ্জ উপজেলার জারুলিয়া, রাধানগর এবং লম্বাবাঁক হাটিতে প্রকল্পটির কার্যক্রমের সফল সমাপ্তির পর এই হস্তান্তর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। দুই বছর ব্যাপী প্রকল্পটির মূল কার্যক্রমের মধ্যে ছিল প্রায় ১.৬ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল ও প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, প্রায় ৫,০০০ স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণের মাধ্যমে বাফার জোন তৈরি এবং কমিউনিটির উন্মুক্ত জায়গাসমূহ উঁচু করা। এই প্রকল্প থেকে প্রায় ৪,৬০০ জন উপকারভোগী সুবিধা পেয়েছে, যা আকস্মিক বন্যা ও ক্ষয়প্রবণতা থেকে তাদেরকে রক্ষা করার পাশাপাশি টেকসই জীবিকা ও পরিবেশ পুনরুদ্ধারের ভিত্তি স্থাপন করেছে। জারুলিয়া হাটির পক্ষ থেকে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, হাওর অঞ্চল একদিকে যেমন সুন্দর, তেমনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন সুরক্ষা দেয়াল এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়তা পাওয়ার ফলে প্রতিবছর আফালের প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত করতে যে ১০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হত তা থেকে আমরা বেঁচে গিয়েছি। এই পাইলট প্রকল্পটি শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কার্যকর কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু অভিযোজনের উদাহরণ নয়, বরং এটি বিশ্বের অন্যান্য জলবায়ু সংবেদনশীল অঞ্চলের জন্যও একটি অনুসরণযোগ্য মডেল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। উল্লেখ্য, প্রকল্পটি জার্মান সরকারের ইকি স্মল গ্রান্টস প্রোগ্রামের অধীনে বাস্তবায়িত, যা স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু ও জীববৈচিত্র্য সমন্বিত সমাধানকে শক্তিশালী করার উদ্দ্যেশে কাজ করছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে সহায়তা করছে জিআইজেড বাংলাদেশ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স