সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন তৎকালীন আইজিপির বর্ণনায় ৫ আগস্ট সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন জামালগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা : রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই : জেলা প্রশাসক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা প্রকৌশলী কামরুল হকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থাকবে নৌ ও বিমান বাহিনী সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল উদ্বোধন অকেজো ১০ হাজার নলকূপ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ জামালগঞ্জে যুবদলের কর্মী সমাবেশে কৃষক লীগ নেতা! ‎সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নতুন সভাপতি শামস শামীম, সম্পাদক জসিম মাছশূন্য হাওর, সংকটে জল-জীবিকা ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়ক বেহাল : দুর্ভোগে হাজারো মানুষ ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তর আসছিল ‘বিশেষ ডিভাইসে’

  • আপলোড সময় : ১০-০৫-২০২৫ ১১:০৫:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৫-২০২৫ ১২:২৩:২৪ পূর্বাহ্ন
পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তর আসছিল ‘বিশেষ ডিভাইসে’
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার-কাম মেসেঞ্জার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ‘বিশেষ ডিভাইস’ ব্যবহার করে উত্তরপত্র পূরণের সময় ১২০ জন পরীক্ষার্থী হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।
তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হলেও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ না করায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুল কালাম।
শুক্রবার বিকেলে শহরের পাঁচটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রগুলো হল- সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

পুলিশ ও পল্লীবিদ্যুত কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতারকচক্রের সঙ্গে ৫-৬ লাখ টাকার চুক্তিতে এই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষা শুরুর পরই দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করেন। ৫০ মিনিটের ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় কিছু পরীক্ষার্থী প্রশ্ন না পড়েই উত্তর দাগাচ্ছিলেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিশেষ ধরনের ডিভাইস উদ্ধার করা হয়, যা দেখতে ব্যাংক কার্ডের মত এবং ক্ষুদ্র কর্ডলেস ইয়ারফোনের সঙ্গে যুক্ত। এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীরমধ্যে ৫৬ জন বহিষ্কৃত হয়েছেন এভাবে জালিয়াতির অভিযোগে। এই কেন্দ্রের শিক্ষক বিজয় তালুকদার জানান, প্রথমে একজনের জালিয়াতি ধরে ফেলার পর বাকিদের কাছেও একই ডিভাইস পাওয়া যায়। কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অনেকের কান থেকে ইয়ারফোনটি বের করেন। কেউ শার্টের কলারে, কেউ আবার বেল্টে ডিভাইসের অংশ লুকিয়ে রেখেছিলেন। শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই প্রার্থীরা বলেছেন, ডিভাইসগুলো মোবাইল সিম দিয়ে চালাতে হয়। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর অপর প্রান্ত থেকে তাদের উত্তর বলে দেওয়া হচ্ছিল। এইচএমপি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রেমানন্দ বিশ্বাস বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে জালিয়াতির ঘটনা সুনামগঞ্জে এই প্রথম। অংশগ্রহণকারী কেউ স্থানীয় নয়; তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সহায়তায় এ কাজ করেছে।
​​​​​পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মিলন কুমার কুন্ডু জানান, পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ১,৩০০ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। আগেই সতর্কবার্তা থাকায় পরীক্ষা চলাকালে এসব জালিয়াতি ধরা পড়ে। পুলিশকে বলা হয়েছে মূল চক্র শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। মূল চক্রের সন্ধান জরুরি। না হলে তারা আগামীতে সব পরীক্ষায় এমন অনিয়ম করবে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি

জানিয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনো লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ না থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন

দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন