সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন পার্লামেন্ট হিল অটোয়া: সুখেন্দু সেন টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান বাজার উদ্বোধন গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় : আইএসপিআর মসজিদে ঢুকে নামাজরত ভাইকে হত্যা চৌধুরী মনসুর আহমদ স্মরণে শোকসভা, তিনি মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন ষড়যন্ত্র রুখতে মাঠে থাকবে যুবদল টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ ভিডিও পোস্ট, প্রতিবাদে থানায় জিডি দোয়ারাবাজারে গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের দাবি জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল তাহিরপুরে অগ্নিকান্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই এনসিপি’র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নাব্যতা হারাচ্ছে খাসিয়ামারা নদী দ্রুত খননের দাবি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরা সুনামগঞ্জ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা “রাজাকারদের উৎখাতে স্বেচ্ছাসেবক দলই যথেষ্ট”

পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তর আসছিল ‘বিশেষ ডিভাইসে’

  • আপলোড সময় : ১০-০৫-২০২৫ ১১:০৫:১৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৫-২০২৫ ১২:২৩:২৪ পূর্বাহ্ন
পল্লী বিদ্যুৎ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তর আসছিল ‘বিশেষ ডিভাইসে’
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার-কাম মেসেঞ্জার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ‘বিশেষ ডিভাইস’ ব্যবহার করে উত্তরপত্র পূরণের সময় ১২০ জন পরীক্ষার্থী হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।
তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হলেও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ না করায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুল কালাম।
শুক্রবার বিকেলে শহরের পাঁচটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রগুলো হল- সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

পুলিশ ও পল্লীবিদ্যুত কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতারকচক্রের সঙ্গে ৫-৬ লাখ টাকার চুক্তিতে এই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষা শুরুর পরই দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করেন। ৫০ মিনিটের ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় কিছু পরীক্ষার্থী প্রশ্ন না পড়েই উত্তর দাগাচ্ছিলেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিশেষ ধরনের ডিভাইস উদ্ধার করা হয়, যা দেখতে ব্যাংক কার্ডের মত এবং ক্ষুদ্র কর্ডলেস ইয়ারফোনের সঙ্গে যুক্ত। এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২৬৯ জন পরীক্ষার্থীরমধ্যে ৫৬ জন বহিষ্কৃত হয়েছেন এভাবে জালিয়াতির অভিযোগে। এই কেন্দ্রের শিক্ষক বিজয় তালুকদার জানান, প্রথমে একজনের জালিয়াতি ধরে ফেলার পর বাকিদের কাছেও একই ডিভাইস পাওয়া যায়। কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অনেকের কান থেকে ইয়ারফোনটি বের করেন। কেউ শার্টের কলারে, কেউ আবার বেল্টে ডিভাইসের অংশ লুকিয়ে রেখেছিলেন। শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই প্রার্থীরা বলেছেন, ডিভাইসগুলো মোবাইল সিম দিয়ে চালাতে হয়। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পর অপর প্রান্ত থেকে তাদের উত্তর বলে দেওয়া হচ্ছিল। এইচএমপি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রেমানন্দ বিশ্বাস বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে জালিয়াতির ঘটনা সুনামগঞ্জে এই প্রথম। অংশগ্রহণকারী কেউ স্থানীয় নয়; তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সহায়তায় এ কাজ করেছে।
​​​​​পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মিলন কুমার কুন্ডু জানান, পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ১,৩০০ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। আগেই সতর্কবার্তা থাকায় পরীক্ষা চলাকালে এসব জালিয়াতি ধরা পড়ে। পুলিশকে বলা হয়েছে মূল চক্র শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। মূল চক্রের সন্ধান জরুরি। না হলে তারা আগামীতে সব পরীক্ষায় এমন অনিয়ম করবে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি

জানিয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনো লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ না থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স