সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন পার্লামেন্ট হিল অটোয়া: সুখেন্দু সেন টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান বাজার উদ্বোধন গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় : আইএসপিআর মসজিদে ঢুকে নামাজরত ভাইকে হত্যা চৌধুরী মনসুর আহমদ স্মরণে শোকসভা, তিনি মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন ষড়যন্ত্র রুখতে মাঠে থাকবে যুবদল টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ ভিডিও পোস্ট, প্রতিবাদে থানায় জিডি দোয়ারাবাজারে গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের দাবি জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল তাহিরপুরে অগ্নিকান্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই এনসিপি’র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নাব্যতা হারাচ্ছে খাসিয়ামারা নদী দ্রুত খননের দাবি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরা সুনামগঞ্জ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা “রাজাকারদের উৎখাতে স্বেচ্ছাসেবক দলই যথেষ্ট”

নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ১১-০৫-২০২৫ ১২:২১:০০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৫-২০২৫ ১২:২১:০০ পূর্বাহ্ন
নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিন
সুরমা নদীর ভাঙনে প্রতিনিয়ত বসতভিটা, কৃষিজমি ও শত শত মানুষের স্বপ্ন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ এখন চরমে। ষাটোর্ধ্ব মোজাহিদ মিয়া ও সত্তরোর্ধ্ব দুলাল মিয়ার জীবনকাহিনী যেন পুরো গ্রামের বাস্তবতা তুলে ধরে- নদী গিলে নিচ্ছে তাদের পুরোনো স্মৃতি, বাস্তবতা আর জীবনের নিরাপত্তা। নদী ভাঙন বাংলাদেশের একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা হলেও অনেক স্থানে এখনো এর কার্যকর সমাধান আসেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, শত কোটি টাকার নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প থেকেও মাছিমপুর গ্রামকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায় - এটি যদি সত্য হয়, তবে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক। নদী ভাঙন কোনো দলীয় বা গোষ্ঠীগত সমস্যা নয়; এটি একটি মানবিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সংকট। প্রশাসনের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের পক্ষ থেকে একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে রিপোর্ট পাঠানোর কথা বলা হলেও, সেটি যেন আরেকটি ‘দায়সারা আশ্বাসে’ পরিণত না হয়। আমরা দাবি জানাই: পশ্চিম ও পূর্ব মাছিমপুরকে অগ্রাধিকার দিয়ে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। বিগত প্রকল্পে বাদ পড়ার কারণ খতিয়ে দেখা এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য জরুরি পুনর্বাসন ও সহায়তা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে শুধু মাছিমপুর নয়, সুরমার পাড়ঘেঁষা বহু জনপদ একদিন মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। সময় আছে, কিন্তু তা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স