সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন পার্লামেন্ট হিল অটোয়া: সুখেন্দু সেন টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান বাজার উদ্বোধন গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় : আইএসপিআর মসজিদে ঢুকে নামাজরত ভাইকে হত্যা চৌধুরী মনসুর আহমদ স্মরণে শোকসভা, তিনি মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন ষড়যন্ত্র রুখতে মাঠে থাকবে যুবদল টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ ভিডিও পোস্ট, প্রতিবাদে থানায় জিডি দোয়ারাবাজারে গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের দাবি জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল তাহিরপুরে অগ্নিকান্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই এনসিপি’র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নাব্যতা হারাচ্ছে খাসিয়ামারা নদী দ্রুত খননের দাবি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরা সুনামগঞ্জ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা “রাজাকারদের উৎখাতে স্বেচ্ছাসেবক দলই যথেষ্ট”

এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

  • আপলোড সময় : ১৪-০৫-২০২৫ ১২:০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৫-২০২৫ ১২:০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ,  দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সুনামকণ্ঠ ডেস্ক :: সিলেটের বহুল আলোচিত এমসি কলেজে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) ট্রাইব্যুনালে মামলাটির প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে মামলার বাদী ও ঘটনার শিকার তরুণী আদালতে হাজির হননি। তবে মামলায় হৃদয় পারভেজ নামের একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। হৃদয় পারভেজ ঘটনার সময় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের ২০৫ নম্বর কক্ষে আবাসিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি ¯œাতকোত্তর শেষ করে ছাত্রাবাস ছেড়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মামলার আট আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিন তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও বাদী ও ভুক্তভোগী আদালতে উপস্থিত হননি। ফলে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ স¤পন্ন হয়েছে। আদালত ১৯ মে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন। আলোচিত এই মামলাটি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ছিল। পরবর্তীসময়ে এটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময় তার স্বামীকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে তিন দিনের মধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর বেশ কয়েকজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ডিএনএ পরীক্ষায় আট আসামির মধ্যে ছয়জনের সঙ্গে ধর্ষণের আলামতের মিল পাওয়া যায়। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযুক্তরা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ও মাহফুজুর রহমান। আসামিরা ছাত্রলীগের টিলাগড়কেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে সবাই কারাগারে রয়েছেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স