সুনামগঞ্জ , সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫ , ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ বিএনপিতে ফাটল, ১৮ ইউনিটে পাল্টা কমিটি দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ বিশ্বম্ভরপুরে নারীর লাশ উদ্ধার দুই যুগ আগের ঝুলে থাকা ১০ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করবে হাইকোর্ট পাঁচ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯১০০ মামলা বিএনপি’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জগন্নাথপুরে রিংকনের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, শ্বাসরোধে হত্যা : পিবিআই হাউসবোটে বিদ্যুতের চোরাই জোগান! নৈতিক শিক্ষা-ভালো মানুষ হলেই দেশ উপকৃত হবে : সেনাপ্রধান জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নে হাতিয়ার হবে না সীমান্তে জব্দকৃত ৯০টি ভারতীয় গরু গায়েব দোয়ারাবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ ভাড়াটিয়াদের আটকে রাখেন বাড়িওয়ালা, উদ্ধার করলো পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের বিশাল সমাবেশ অন্তর্বর্তী সরকার কি আদৌ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে, প্রশ্ন তারেক রহমানের সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ১০ দোকান উচ্ছেদ মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
পরিবারের দাবি হত্যা

আ.লীগ নেতার বাসা থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার

  • আপলোড সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ১২:৩২:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ১২:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
আ.লীগ নেতার বাসা থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাঁধনপাড়ায় আওয়ামী নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কুর বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহকর্মী চম্পা বেগমের (১৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুর ১টায় দুইতলা বাসার জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ- বাড়ির মালিক ও তার ছেলেদের নির্যাতনে প্রাণ গেছে মেয়েটির।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চম্পা বেগমের মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পান ওই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভ। তিনি প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।
চম্পার বাবা বাদশা মিয়া বলেন, তিন বছর আগে চম্পা ওই বাড়িতে কাজ করতো। তখনও ওদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাই আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু পরে বাড়িওয়ালা নিক্কু চেয়ারম্যানের অনুরোধে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। এবার আর বেঁচে ফিরল না। এটি পরিকল্পিত হত্যা বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নিহতের বড় বোন সায়মা বেগম বলেন, ক’দিন আগে আমার বোন আমাকে ফোনে জানিয়েছে নিক্কু চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা আমার বোনকে লাঞ্ছিত করেছে। সে এখানে আর কাজ করতে চায় না। আমার বোনকে বাড়িওয়ালা ও তার ছেলেরা হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
বাসার মালিক রেজাউল করিম নিক্কু জানান, আমার বাসায় কাজ করত চম্পা। কিছুদিন আগে চম্পা গৃহকর্মীর চাকরি ছেড়ে ঢাকার গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। গার্মেন্টসের বেতনে থাকা খাওয়া না পোষালে আবার আমার বাসায় ফিরে আসে। ঢাকার গার্মেন্টসে থাকা অবস্থায় রাকিব নামে এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি জানান, সুনামগঞ্জে এসেও চম্পা নীচতলায় থাকা এক ছাত্রীর মোবাইল থেকে রাকিবের সঙ্গে ফোনালাপ করতো। ঘটনার আগের রাতেও আমাদের বাসার ট্যাবে চ্যাট করেছে এবং প্রেমিককে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। চম্পার হাতেও রকিবের নাম লিখে রেখেছে।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি।
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স