সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন পার্লামেন্ট হিল অটোয়া: সুখেন্দু সেন টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান বাজার উদ্বোধন গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় : আইএসপিআর মসজিদে ঢুকে নামাজরত ভাইকে হত্যা চৌধুরী মনসুর আহমদ স্মরণে শোকসভা, তিনি মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন ষড়যন্ত্র রুখতে মাঠে থাকবে যুবদল টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ ভিডিও পোস্ট, প্রতিবাদে থানায় জিডি দোয়ারাবাজারে গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের দাবি জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল তাহিরপুরে অগ্নিকান্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই এনসিপি’র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নাব্যতা হারাচ্ছে খাসিয়ামারা নদী দ্রুত খননের দাবি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরা সুনামগঞ্জ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা “রাজাকারদের উৎখাতে স্বেচ্ছাসেবক দলই যথেষ্ট”
পরিবারের দাবি হত্যা

আ.লীগ নেতার বাসা থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার

  • আপলোড সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ১২:৩২:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ১২:৩৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
আ.লীগ নেতার বাসা থেকে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাঁধনপাড়ায় আওয়ামী নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কুর বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহকর্মী চম্পা বেগমের (১৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুর ১টায় দুইতলা বাসার জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ- বাড়ির মালিক ও তার ছেলেদের নির্যাতনে প্রাণ গেছে মেয়েটির।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চম্পা বেগমের মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পান ওই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভ। তিনি প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।
চম্পার বাবা বাদশা মিয়া বলেন, তিন বছর আগে চম্পা ওই বাড়িতে কাজ করতো। তখনও ওদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাই আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু পরে বাড়িওয়ালা নিক্কু চেয়ারম্যানের অনুরোধে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। এবার আর বেঁচে ফিরল না। এটি পরিকল্পিত হত্যা বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নিহতের বড় বোন সায়মা বেগম বলেন, ক’দিন আগে আমার বোন আমাকে ফোনে জানিয়েছে নিক্কু চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা আমার বোনকে লাঞ্ছিত করেছে। সে এখানে আর কাজ করতে চায় না। আমার বোনকে বাড়িওয়ালা ও তার ছেলেরা হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
বাসার মালিক রেজাউল করিম নিক্কু জানান, আমার বাসায় কাজ করত চম্পা। কিছুদিন আগে চম্পা গৃহকর্মীর চাকরি ছেড়ে ঢাকার গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। গার্মেন্টসের বেতনে থাকা খাওয়া না পোষালে আবার আমার বাসায় ফিরে আসে। ঢাকার গার্মেন্টসে থাকা অবস্থায় রাকিব নামে এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি জানান, সুনামগঞ্জে এসেও চম্পা নীচতলায় থাকা এক ছাত্রীর মোবাইল থেকে রাকিবের সঙ্গে ফোনালাপ করতো। ঘটনার আগের রাতেও আমাদের বাসার ট্যাবে চ্যাট করেছে এবং প্রেমিককে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। চম্পার হাতেও রকিবের নাম লিখে রেখেছে।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি।
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স