সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

জাতীয় সংগীতে বাধা : চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

  • আপলোড সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ০১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ০১:১০:১৬ পূর্বাহ্ন
জাতীয় সংগীতে বাধা : চেতনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
জাতীয় সংগীত একটি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রতীক। এটি শুধু একটি সুর বা কবিতা নয়, বরং একটি জাতির চেতনা, আত্মত্যাগ এবং সংগ্রামের প্রতিধ্বনি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ যেন এক একটি শহীদের রক্তে রঞ্জিত প্রতিজ্ঞা, যে প্রতিজ্ঞা ছিল একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। সম্প্রতি শাহবাগে আয়োজিত একটি গণজমায়েতে ছাত্রনেতাদের জাতীয় সংগীত গাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার যে ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তা উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে সমস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন- এটি শুধু একটি সংগীত পরিবেশনা নয়, বরং একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক ও নৈতিক বার্তা। জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা কোনো দল বা গোষ্ঠীর সম্পত্তি নয়। এগুলো গোটা জাতির, প্রতিটি নাগরিকের গর্বের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় যে কেউ যখনই এই প্রতীকগুলোকে ব্যবহার করবে, তা কখনোই দমনযোগ্য নয়। বরং, এসব ক্ষেত্রে বাধা প্রদান নিজেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। এই প্রেক্ষাপটে ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ কর্মসূচি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, জাতির ইতিহাসকে বিকৃত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে নতুন প্রজন্ম। বিশেষ করে, যখন ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর মতো নানা রাজনৈতিক মতের সংগঠন একত্রে দাঁড়ায়, তখন তা কেবল একটি সংগীত পরিবেশন নয় - একটি ঐক্যের ঘোষণা। সরকার ও প্রশাসনের উচিত, জাতীয় প্রতীক ব্যবহারে এমন বাধা সৃষ্টি হয়েছে কি না তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার। জাতীয় সংগীত গাওয়া সেই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। সবশেষে বলা প্রয়োজন, জাতীয় প্রতীকগুলোকে রক্ষা করা শুধু এক পক্ষের দায়িত্ব নয়, এটি পুরো জাতির নৈতিক দায়িত্ব। আজ যারা জাতীয় সংগীতে বাধা দেন, কাল তারা ইতিহাসকে অস্বীকার করবেন। এই পথ রুদ্ধ করতে হলে আমাদের সবাইকে - ছাত্র, শিক্ষক, নাগরিক - একসাথে এগিয়ে আসতে হবে। ইতিহাস ও চেতনার ওপর আঘাত সহ্য করার সময় এখন আর নেই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স