সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • আপলোড সময় : ২১-০৫-২০২৫ ০৯:১৬:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৫-২০২৫ ০৯:১৬:৩১ পূর্বাহ্ন
ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার :: শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামে প্রভাবশালী কর্তৃক মালিকানাধীন জায়গায় বসতঘর নির্মাণে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে গাজীনগর গ্রামের পশ্চিম হাটিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ফয়জুল ইসলাম বলেন, আমি ২০০৭ সালে রেকর্ডীয় মালিকের কাছ থেকে জায়গা কিনে এই জায়গায় বসত ঘর নির্মাণ করেছিলাম। নিরাপদে দুই বছর পরিবার পরিজনকে নিয়ে বসবাস করেছি। পরে জায়গায় সীমানা নিয়ে গ্রামের প্রভাবশালী মোস্তফা মিয়া, মনির মিয়া, হারুন মিয়া, গোলাপ মিয়া গংদের সাথে বিরোধ হলে তারা রাতের আধারে আমার বসতঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এবং আমি ও আমার ছেলেকে হাত পা বেঁধে মারধর করে পা ভেঙে ফেলে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মারধরসহ অমানসিক নির্যাতন করে। তিনি বলেন, এই ঘটনার পর প্রাণের ভয়ে আমরা এলাকা ছেড়ে চলে আসি এবং সুনামগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। ঘটনা সত্য হওয়ায় এ মামলায় অনেকে জেলও খেটেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পর ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন। তিনি আরও বলেন, নিশ্চিত সাজা হবে জেনে অভিযুক্তরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বার বার আমাকে অনুরোধ করলে বিচার প্রক্রিয়ায় একটি স্টাম্প বন্ড দেয় অভিযুক্তরা এবং আমার মালিকানাধীন জায়গা সার্ভেয়ার নিয়ে পরিমাপ করে পিলার মেরে সীমানা বুঝিয়ে দেয়া হয়। আমি ঘর নির্মাণে অক্ষম থাকায় দীর্ঘ বছর যাবৎ অন্যের বাড়িতে বসবাস করছি। এখন আমি নিজ ভিটাতে বসতঘর নির্মাণ করার জন্য মালামাল নিলে অভিযুক্তদের হুকুমে তাদের চাচাত ভাই আক্কাছ মিয়া তার ছেলে ও আত্মীয় স্বজন নিয়ে আমাকে ঘর নির্মাণে বাঁধা এবং কিছু মাল লুট করে নিয়ে যায়। ফয়জুল ইসলাম বলেন, এখন অভিযুক্তরা এলাকায় প্রকাশ্যে বলাবলি করছে যদি এই জায়গায় আমি ঘর নির্মাণের চেষ্টা করি তাহলে পূর্বের মত আমার ঘরবাড়ীসহ আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারবে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়। এই অবস্থায় ১৫ বছর পর আবারও আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন গাজীনগর গ্রামের আমির ইসলাম, আলতাবুর রহমান, সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ। এ সময় গ্রামের আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ঘর নির্মাণে বাধা দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে আক্কাছ মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স