সুনামগঞ্জ , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে জুলাই গণহত্যা : রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন শিক্ষাক্ষেত্রে সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা চাই : জেলা প্রশাসক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিলেন জেলা প্রশাসক স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা প্রকৌশলী কামরুল হকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি থাকবে নৌ ও বিমান বাহিনী সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল উদ্বোধন অকেজো ১০ হাজার নলকূপ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ জামালগঞ্জে যুবদলের কর্মী সমাবেশে কৃষক লীগ নেতা! ‎সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নতুন সভাপতি শামস শামীম, সম্পাদক জসিম মাছশূন্য হাওর, সংকটে জল-জীবিকা ব্রিটিশ-বাংলাবাজার সড়ক বেহাল : দুর্ভোগে হাজারো মানুষ ভিপি নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হাউসবোটে নেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যটকদের উদ্বেগ বাংলাবাজার ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশ সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের আড্ডা অনুষ্ঠিত ঢাকায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষ

মহালের বালু ফ্রি ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ২৬-০৫-২০২৫ ০২:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৫-২০২৫ ০২:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন
মহালের বালু ফ্রি ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
তাহিরপুরে উড়াল সড়ক প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন দুইটি সেতুতে মাহারাম বালু মহালের বালু ফ্রিতে ব্যবহার করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান - এমন অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর এবং উদ্বেগজনক। এ ধরনের কর্মকা- শুধু সরকারের রাজস্ব হারানোর কারণই নয়, এটি প্রকল্প বাস্তবায়নের নৈতিকতা ও সুশাসনের ওপর বড় ধরনের আঘাত। সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো সরকারি সম্পদ, বিশেষ করে বালু মহালের মতো প্রাকৃতিক স¤পদ ব্যবহারে নির্দিষ্ট ফি, টেন্ডার প্রক্রিয়া ও পরিবেশগত ছাড়পত্রের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা প্রকাশ্যে সরকারি বালু মহাল থেকে বালু তুলে তা প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করছেন। তারা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও নেতাকে ম্যানেজ করে ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে এই অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে যেমন সরকারের রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি একটি বৈধ প্রক্রিয়ার ওপর মানুষের আস্থা দুর্বল হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগ ঘটনাটি অবগত থাকার পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। চিঠি দিয়ে নিষেধ করলেও কাজ বন্ধ হয়নি। বরং অভিযোগ উঠেছে, এসব তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায়। এই বাস্তবতা স্থানীয় প্রশাসনের দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ দেয় না। এখানে প্রশ্ন উঠছে- সরকারি স¤পদের এই দুঃসাহসিক অপব্যবহার বন্ধে প্রশাসন কতটা আন্তরিক? প্রকল্প ব্যয় ৮৯ কোটি টাকার বেশি হলেও, যদি তার একটি বড় অংশ অবৈধভাবে লাভের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তবে তা শুধু প্রকল্পের মান নয়, সরকারের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মসূচিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা সম্পাদকীয়র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- এই অনিয়মের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হোক। প্রয়োজন হলে উচ্চতর পর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হোক এবং প্রকল্প এলাকায় প্রশাসনিক তদারকি জোরদার করা হোক। একইসাথে ভুয়া ভাউচার প্রদর্শন করে যারা সরকারি স¤পদ আত্মসাৎ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ

সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ১২ ধরনের আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ