সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন পার্লামেন্ট হিল অটোয়া: সুখেন্দু সেন টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান বাজার উদ্বোধন গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় : আইএসপিআর মসজিদে ঢুকে নামাজরত ভাইকে হত্যা চৌধুরী মনসুর আহমদ স্মরণে শোকসভা, তিনি মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন ষড়যন্ত্র রুখতে মাঠে থাকবে যুবদল টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ ভিডিও পোস্ট, প্রতিবাদে থানায় জিডি দোয়ারাবাজারে গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের দাবি জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল তাহিরপুরে অগ্নিকান্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই এনসিপি’র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নাব্যতা হারাচ্ছে খাসিয়ামারা নদী দ্রুত খননের দাবি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরা সুনামগঞ্জ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা “রাজাকারদের উৎখাতে স্বেচ্ছাসেবক দলই যথেষ্ট”

মহালের বালু ফ্রি ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

  • আপলোড সময় : ২৬-০৫-২০২৫ ০২:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৫-২০২৫ ০২:৩৫:২৭ পূর্বাহ্ন
মহালের বালু ফ্রি ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
তাহিরপুরে উড়াল সড়ক প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন দুইটি সেতুতে মাহারাম বালু মহালের বালু ফ্রিতে ব্যবহার করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান - এমন অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর এবং উদ্বেগজনক। এ ধরনের কর্মকা- শুধু সরকারের রাজস্ব হারানোর কারণই নয়, এটি প্রকল্প বাস্তবায়নের নৈতিকতা ও সুশাসনের ওপর বড় ধরনের আঘাত। সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো সরকারি সম্পদ, বিশেষ করে বালু মহালের মতো প্রাকৃতিক স¤পদ ব্যবহারে নির্দিষ্ট ফি, টেন্ডার প্রক্রিয়া ও পরিবেশগত ছাড়পত্রের বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা প্রকাশ্যে সরকারি বালু মহাল থেকে বালু তুলে তা প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করছেন। তারা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও নেতাকে ম্যানেজ করে ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে এই অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে যেমন সরকারের রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি একটি বৈধ প্রক্রিয়ার ওপর মানুষের আস্থা দুর্বল হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগ ঘটনাটি অবগত থাকার পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। চিঠি দিয়ে নিষেধ করলেও কাজ বন্ধ হয়নি। বরং অভিযোগ উঠেছে, এসব তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায়। এই বাস্তবতা স্থানীয় প্রশাসনের দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ দেয় না। এখানে প্রশ্ন উঠছে- সরকারি স¤পদের এই দুঃসাহসিক অপব্যবহার বন্ধে প্রশাসন কতটা আন্তরিক? প্রকল্প ব্যয় ৮৯ কোটি টাকার বেশি হলেও, যদি তার একটি বড় অংশ অবৈধভাবে লাভের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়, তবে তা শুধু প্রকল্পের মান নয়, সরকারের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মসূচিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। আমরা সম্পাদকীয়র মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- এই অনিয়মের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হোক। প্রয়োজন হলে উচ্চতর পর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হোক এবং প্রকল্প এলাকায় প্রশাসনিক তদারকি জোরদার করা হোক। একইসাথে ভুয়া ভাউচার প্রদর্শন করে যারা সরকারি স¤পদ আত্মসাৎ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স