সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

ওয়ার্ড পর্যায়ে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু এখন সময়ের দাবি

  • আপলোড সময় : ২৭-০৫-২০২৫ ১২:১২:৪২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৫-২০২৫ ১২:১২:৪২ পূর্বাহ্ন
ওয়ার্ড পর্যায়ে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু এখন সময়ের দাবি
সুনামগঞ্জসহ দেশের হাওর অঞ্চলে এবছর বাম্পার বোরো ধানের উৎপাদন আমাদের কৃষি খাতের সম্ভাবনাকে আবারও প্রমাণ করেছে। প্রায় ১৪ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি ধান উৎপাদনের মধ্য দিয়ে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষকের স্বাবলম্বী হওয়ার আশাব্যঞ্জক বার্তা মিললেও দুঃখজনকভাবে সেই সুফল কৃষকের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না। প্রধান কারণ- সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করতে গিয়ে হাওরের দুর্গম এলাকার কৃষকদের যাতায়াত বিড়ম্বনা, অতিরিক্ত পরিবহন খরচ ও সীমিত সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা। ফলে বাজারে ন্যায্য দাম না পেয়ে এবং গুদামে দিতে উৎসাহ হারিয়ে অনেক কৃষক বাধ্য হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে ধান বিক্রি করতে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী দাবি হলো- ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ে ধান সংগ্রহ কেন্দ্র চালু করা। হাওর অঞ্চলের বাস্তবতা হলো- সড়ক ব্যবস্থা দুর্বল, অনেক এলাকা বছরের দীর্ঘ সময় জলমগ্ন থাকে, যা থেকে নৌকা, ট্রলি বা শ্রমিক খরচ বেড়ে যায়। গড়ে প্রতি মণে পরিবহন ব্যয় দাঁড়ায় ২০০ টাকার মতো, যা সরকার নির্ধারিত মূল্য (মণপ্রতি ১,৪৪০ টাকা) থেকে কৃষকের লাভ কমিয়ে দেয়। যদি সরকার ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়েই ধান সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে, তাহলে- কৃষকের ধান ঘর থেকেই সংগ্রহ সম্ভব হবে, পরিবহন খরচ বাঁচবে, সংগ্রহ কার্যক্রম গতিশীল হবে, সরকার নির্ধারিত গুণগতমান বজায় রেখেও সহজে ধান মজুদ করা সম্ভব হবে। বহু কৃষক ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, যদি ঘরের কাছাকাছি ধান দেওয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে তারা সরকারি গুদামে ধান দিতে আগ্রহী হবেন। এছাড়া বেসরকারি দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যও এভাবে রোধ করা সম্ভব। সরকার যে ‘কৃষিবান্ধব’ নীতির কথা বলে থাকে, তা বাস্তবে রূপ দিতে হলে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ চালুর মতো বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। শুধু মন্ত্রণালয় বা জেলা শহরে বসে সিদ্ধান্ত নিলেই হবে না - কৃষকের মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়েই গঠন করতে হবে কার্যকর সংগ্রহ নীতি। আমরা মনে করি, একজন কৃষকের ঘামে ভেজা ধানের প্রতি সম্মান জানাতে হলে, তার ধান কেনার পথকে সহজ করতে হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক ধান সংগ্রহ কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক হাওরের কৃষকের প্রাপ্য ন্যায্যতার প্রথম ধাপ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স