সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল - প্রয়োজন জবাবদিহিতা ও সংস্কার

  • আপলোড সময় : ২৮-০৫-২০২৫ ১২:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৫-২০২৫ ১২:৩০:৫৮ পূর্বাহ্ন
দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল - প্রয়োজন জবাবদিহিতা ও সংস্কার
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদ্য পরিচালিত অভিযানটি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম দুরবস্থা ও নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র উন্মোচন করেছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে যে অনিয়ম, দুর্নীতি ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বিদ্যমান, তা শুধু উদ্বেগজনকই নয়, বরং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। দুদকের অভিযানে উঠে এসেছে, কর্মকর্তাদের নিয়মিত অনুপস্থিতি, দায়িত্বে অবহেলা, ওষুধ বিতরণে চরম গড়মিল, নি¤œমানের খাবার সরবরাহ এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। সবচেয়ে ভয়াবহ যে চিত্রটি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো- সরকারি ২-৩ কোটি টাকার ওষুধের ক্রয় সংক্রান্ত রেজিস্ট্রারের গায়েব হয়ে যাওয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগসাজশে তা তসরুপের প্রমাণ। যেখানে সরকারি অর্থে বরাদ্দকৃত ওষুধ রোগীদের জন্য সরবরাহ হওয়ার কথা, সেখানে ওষুধ গুদামে থেকেও রেজিস্ট্রারে নেই, এবং রোগীরা তা পাচ্ছেন না- এটি শুধুমাত্র চরম অবহেলা নয়, এটি একটি সুপরিকল্পিত দুর্নীতির অংশ। তদুপরি, হাসপাতালের বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থাও কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কর্মচারীরা বিলম্বে এসে সময়ের আগেই দায়িত্ব ত্যাগ করছেন, অথচ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ। এমন পরিস্থিতিতে দুদকের অভিযান প্রশংসনীয় এবং সময়োপযোগী। কিন্তু কেবল অভিযান চালিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করলেই চলবে না, বাস্তবিক জবাবদিহিতা ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ওষুধ ক্রয়, বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মনে করি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জবাবদিহিতার অভাব রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সমান। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম প্রশাসনিক সচেতনতা ও জবাবদিহিতা না থাকলে সরকারি অর্থ ও জনস্বাস্থ্য উভয়ই হুমকির মুখে পড়বে। আমরা চাই, দুদকের এমন অভিযান ধারাবাহিকভাবে চালু থাকুক এবং তা যেন প্রতিকারমুখী ফল বয়ে আনে। হাসপাতাল শুধু একটি চিকিৎসাকেন্দ্র নয়, এটি মানুষের জীবন বাঁচানোর আশ্রয়। সেই আশ্রয়ে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা কোনোভাবেই সহ্যযোগ্য নয়। সুনামগঞ্জের স্বাস্থ্যখাতকে বাঁচাতে হলে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দুদকের প্রতিবেদন যেন আলমারির ফাইলে বন্দি না থেকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করে, সেই প্রত্যাশাই রইল।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স