সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৬৭ পশুর হাট জমে ওঠেছে ধানের হাসি মুখে, ঈদ এসেছে সুখে হাওরে আতঙ্কের নাম বজ্রপাত, ১০ বছরে ১৮২ জনের মৃত্যু সুরমা ইউনিয়নে ১৭ প্রকল্পের কাজ শেষ : ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা শাল্লায় সাংবাদিকদের ঈদে টাকা দিলেন পিআইও ধর্মপাশায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিদায় সংবর্ধনা মহাসিং নদীতে ডুবে জেলের মৃত্যু সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী

বিশ্বম্ভরপুরে দু’টি ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি : ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

  • আপলোড সময় : ২৮-০৫-২০২৫ ১২:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৫-২০২৫ ১২:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
বিশ্বম্ভরপুরে দু’টি ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি : ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধি :: বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সংগ্রামপুর গ্রামের ইজারাবন্দ ও রমারধর খালের ওপর নির্মাণাধীন দুইটি ব্রিজে ধীরগতির কাজ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ব্রিজ দুটির সংযোগ সড়কে মাটি না দেওয়ায় স্থানীয়দের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। জানাযায়, গত কয়েক বছরে ক্রমাগত বন্যায় পুরোনো ব্রিজ ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় দুটি স্থানে ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বেশ কিছু দিন ধরে ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ব্রিজের দু’দিকে মাটি ভরাটের বিষয়ে গড়িমসি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরিশা এন্টারপ্রাইজ। তাই ব্রিজের কাজ স্লথ গতিতে চলতে থাকায় এবং দু’দিকে অ্যাপ্রোচে মাটি ভরাট না করায় পুরো বছরজুড়ে সব ধরনের যান চলাচল সহ যাতায়াত বন্ধ থাকার আশঙ্কা এলাকাবাসীর। তাই ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দ্রুত ব্রিজটি চালু করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার সংগ্রামপুর এলাকায় ২টি জায়গায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে এই ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ব্রিজ কালভার্টের কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৯ টাকা। পাশর্^বর্তী ২টি হাওর থেকে বিবিধ ফসল আনা নেওয়ার জন্য ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ সম্পন্নের জন্য এলাকাবাসীর তাগিদ থাকলেও কাজে ধীরগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আশপাশ গ্রামের কৃষকেরা। সংগ্রামপুর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বলেন, মাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে ব্রিজের কাজ করা হয়েছে। তদারক কর্মকর্তাকে ব্রিজ নির্মাণকাজ পরিদর্শনে আসতে দেখা যায়নি। দু’দিকে মাটি না দেওয়ায় পুরো বছর জুড়ে যাতায়াত বন্ধের আশংকা রয়েছে। একই এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, ব্রিজের দু’দিকে সংযোগস্থলে মাটি না থাকায় ব্রিজটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ বলেন, হাজী মজিদ উল্লাহ কলায়া উচ্চ বিদ্যালয়, নেয়ামতপুরসহ উপজেলা ও জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য গ্রামের শিক্ষার্থী ও লোকজনের চলাচলের পথ এই ব্রিজটি। ব্রিজের বর্ষা মৌসুমের অজুহাতে ব্রিজের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না হলে ভোগান্তিতে পড়বে এলাকাবাসী। তাই দুই দিকে মাটি ভরাট করে ব্রিজের ওপর দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সালমা আক্তার লাকীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার জানিয়েছেন, জুনের মধ্যেই ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হবে, কাজে কোন প্রকার অনিয়ম নেই।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স