সুনামগঞ্জ , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে একসাথে কাজের আহ্বান শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রোগীদের চরম ভোগান্তি বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক

প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা, টাঙ্গুয়া কি ফিরবে নিজের রূপে?

  • আপলোড সময় : ২৯-০৫-২০২৫ ০৮:০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৫-২০২৫ ০৮:০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা, টাঙ্গুয়া কি ফিরবে নিজের রূপে?
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর - বাংলাদেশের একটি অনন্য জীববৈচির্ত্যভিত্তিক জলাভূমি। প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এই হাওরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাকৃতিক স¤পদে ভরপুর এ অঞ্চলকে ঘিরে গত দুই দশকে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও হাওরের বাস্তব চিত্র এখনো হতাশাজনক। প্রাণহীন হয়ে পড়েছে এক সময়ের প্রাণবন্ত জলাভূমি, হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য, আর স্থানীয়রা বারবার হয়েছেন অবহেলিত। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ঢাকায় ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি নতুন পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেটের এ প্রকল্পে পরিবেশ রক্ষা, টেকসই জীবিকা নিশ্চিতকরণ এবং বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়- আসলেই কি এ প্রকল্প পুরোনো ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তবায়িত হবে? স্থানীয় পর্যায়ের উদ্বেগ অমূলক নয়। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, অনেক প্রকল্পেই স্থানীয় জনগণকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তথাকথিত সংরক্ষণের নামে স্থানীয়দের জীবিকায় আঘাত করা হয়েছে, যাদের জন্য প্রকল্প, তারাই পরিণত হয়েছেন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। ফলে প্রকল্পে বরাদ্দ আসলেও তার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। নতুন প্রকল্পেও ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক’ ব্যবস্থাপনার কথা বলা হলেও মাঠপর্যায়ের অংশগ্রহণ এখনো স্পষ্ট নয়। প্রকল্পের আওতায় মাত্র ৩-৪ হাজার মানুষকে সুবিধাভোগী করা হবে বলা হলেও টাঙ্গুয়ার হাওরের ৪১টি গ্রামের বাস্তবতা সেখানে অনুপস্থিত। এমন সীমিত উদ্যোগে টেকসই উন্নয়ন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এখানে প্রয়োজন বাস্তবতা ভিত্তিক সুসংগঠিত পরিকল্পনা, স্বচ্ছতা এবং স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ। হাওরের প্রকৃতি রক্ষায় স্থানীয়দের বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরি করতে হবে, নিয়ন্ত্রিত জনবসতি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। প্রকল্প যেন মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভের খাতায় পরিণত না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। এই প্রকল্প সত্যিকার অর্থে যদি হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়, তবে প্রয়োজন হবে মনিটরিং ব্যবস্থার শক্তিশালী কাঠামো, দায়বদ্ধতা, আর কার্যকর মাঠপর্যায়ের সম্পৃক্ততা। আশা করাই যায়, এবার যেন ফিরে না আসে সেই পুরনো গল্প- প্রকল্প আছে, টাকা গেছে, হাওর থেকেও গেছে প্রাণ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স