সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন পার্লামেন্ট হিল অটোয়া: সুখেন্দু সেন টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান বাজার উদ্বোধন গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় : আইএসপিআর মসজিদে ঢুকে নামাজরত ভাইকে হত্যা চৌধুরী মনসুর আহমদ স্মরণে শোকসভা, তিনি মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন ষড়যন্ত্র রুখতে মাঠে থাকবে যুবদল টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ ভিডিও পোস্ট, প্রতিবাদে থানায় জিডি দোয়ারাবাজারে গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের দাবি জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল তাহিরপুরে অগ্নিকান্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ছাই এনসিপি’র সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নাব্যতা হারাচ্ছে খাসিয়ামারা নদী দ্রুত খননের দাবি সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে গোপালগঞ্জ ছাড়েন সারজিস-হাসনাতরা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে দেশসেরা সুনামগঞ্জ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা “রাজাকারদের উৎখাতে স্বেচ্ছাসেবক দলই যথেষ্ট”

প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা, টাঙ্গুয়া কি ফিরবে নিজের রূপে?

  • আপলোড সময় : ২৯-০৫-২০২৫ ০৮:০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৫-২০২৫ ০৮:০৮:১৭ পূর্বাহ্ন
প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা, টাঙ্গুয়া কি ফিরবে নিজের রূপে?
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর - বাংলাদেশের একটি অনন্য জীববৈচির্ত্যভিত্তিক জলাভূমি। প্রায় ৪০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এই হাওরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাকৃতিক স¤পদে ভরপুর এ অঞ্চলকে ঘিরে গত দুই দশকে একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও হাওরের বাস্তব চিত্র এখনো হতাশাজনক। প্রাণহীন হয়ে পড়েছে এক সময়ের প্রাণবন্ত জলাভূমি, হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য, আর স্থানীয়রা বারবার হয়েছেন অবহেলিত। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ঢাকায় ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক টাঙ্গুয়ার হাওর জলাভূমি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি নতুন পাঁচ বছর মেয়াদি প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেটের এ প্রকল্পে পরিবেশ রক্ষা, টেকসই জীবিকা নিশ্চিতকরণ এবং বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়- আসলেই কি এ প্রকল্প পুরোনো ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তবায়িত হবে? স্থানীয় পর্যায়ের উদ্বেগ অমূলক নয়। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, অনেক প্রকল্পেই স্থানীয় জনগণকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তথাকথিত সংরক্ষণের নামে স্থানীয়দের জীবিকায় আঘাত করা হয়েছে, যাদের জন্য প্রকল্প, তারাই পরিণত হয়েছেন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। ফলে প্রকল্পে বরাদ্দ আসলেও তার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। নতুন প্রকল্পেও ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক’ ব্যবস্থাপনার কথা বলা হলেও মাঠপর্যায়ের অংশগ্রহণ এখনো স্পষ্ট নয়। প্রকল্পের আওতায় মাত্র ৩-৪ হাজার মানুষকে সুবিধাভোগী করা হবে বলা হলেও টাঙ্গুয়ার হাওরের ৪১টি গ্রামের বাস্তবতা সেখানে অনুপস্থিত। এমন সীমিত উদ্যোগে টেকসই উন্নয়ন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এখানে প্রয়োজন বাস্তবতা ভিত্তিক সুসংগঠিত পরিকল্পনা, স্বচ্ছতা এবং স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ। হাওরের প্রকৃতি রক্ষায় স্থানীয়দের বিকল্প জীবিকার সুযোগ তৈরি করতে হবে, নিয়ন্ত্রিত জনবসতি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। প্রকল্প যেন মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভের খাতায় পরিণত না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। এই প্রকল্প সত্যিকার অর্থে যদি হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়, তবে প্রয়োজন হবে মনিটরিং ব্যবস্থার শক্তিশালী কাঠামো, দায়বদ্ধতা, আর কার্যকর মাঠপর্যায়ের সম্পৃক্ততা। আশা করাই যায়, এবার যেন ফিরে না আসে সেই পুরনো গল্প- প্রকল্প আছে, টাকা গেছে, হাওর থেকেও গেছে প্রাণ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স