সুনামগঞ্জ , বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষসহ অবৈধ পণ্য অবশেষে শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসানো হলো বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার সুরমা’র পানি বাড়ছে এগ্রোভোল্টাইক্স প্রযুক্তি বিষয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে কৃষক সমাবেশ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত চুরির অপবাদ দিয়ে যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে : এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শান্তিগঞ্জ ইউএনও’র উদ্যোগ : বেসিক নলেজ যাচাই পরীক্ষা সম্পন্ন জামালগঞ্জে উত্তম কৃষি চর্চা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইজিবাইকের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে যাত্রীদের মানববন্ধন হাওর ভাতায় বৈষম্যের অবসান, খুশি স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩০৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক পথে যেতে যেতে : পথচারী নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে একসাথে কাজের আহ্বান শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, রোগীদের চরম ভোগান্তি বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক

ভারতের পুশইন নীতির বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও নিরাপত্তামূলক জবাব জরুরি

  • আপলোড সময় : ৩০-০৫-২০২৫ ১২:১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৫-২০২৫ ১২:১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
ভারতের পুশইন নীতির বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও নিরাপত্তামূলক জবাব জরুরি
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশে অব্যাহত ‘পুশইন’ চালানোর প্রবণতা গভীর উদ্বেগজনক মোড় নিচ্ছে। সিলেটের পর এবার সুনামগঞ্জ সীমান্তে ১৬ জন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক ঠেলে পাঠানোর ঘটনা দেশীয় নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে এসব নাগরিককে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ ভূখন্ডে প্রবেশ করিয়ে দেয় বিএসএফ। বিজিবির তৎপরতায় তারা দ্রুত আটক হলেও এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যেভাবে আমরা কূটনৈতিকভাবে সরব হওয়া উচিত ছিল, তা এখনও দৃশ্যমান নয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আটককৃতদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক হলেও তারা দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করছিলেন। ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হলে তা অবশ্যই আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ও দুই দেশের সমঝোতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। কিন্তু বিএসএফ যেভাবে রাষ্ট্রীয় সমর্থনে রাতের অন্ধকারে মানুষ ঠেলে দিচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সৌহার্দ্য নীতির চরম লঙ্ঘন। প্রকৃতপক্ষে, পুশইন ঠেকাতে বিজিবি সুনামগঞ্জ সীমান্তে সতর্কতা ও টহল বাড়ালেও শুধু বাহ্যিক নজরদারির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আমাদের প্রয়োজন কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি তুলে ধরা। এখানে দুটি স্তরে আমাদের প্রতিক্রিয়া জরুরি- প্রথমত, কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ এবং ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যৌথ পদ্ধতিতে এসব নাগরিকদের পুনর্বাসনের পথ খোঁজা। দ্বিতীয়ত, দেশের নাগরিকদের অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি না দেওয়ার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সীমান্ত এলাকায় কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও নিরাপত্তার মানোন্নয়ন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বারবার সীমান্তে গুলিবর্ষণ, হত্যা কিংবা পুশইন - এই ঘটনাগুলো একতরফা আচরণের ইঙ্গিত দেয়। প্রতিবারের মতো নীরব প্রতিবাদ নয়, এবার প্রয়োজন কার্যকর কূটনৈতিক পদক্ষেপ ও রাষ্ট্রীয় অবস্থান পুনর্বিবেচনা। আমরা মনে করি, দেশের স্বার্থে জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে আপসের কোনো সুযোগ নেই। সীমান্তে পুশইনের মতো অমানবিক ও অবৈধ কর্মকান্ড রুখে দিতে সরকার, প্রশাসন ও জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স