স্টাফ রিপোর্টার ::
গত মে মাসে সুনামগঞ্জে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত একটি গণশুনানিতে অনুপস্থিত থেকে অশোভন আচরণ করেন শাল্লা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন নবী।
সেদিন ওই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ ফরিদ।
জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও, উপস্থিত ছিলেন না শাল্লার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন নবী সরকার। সভায় তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়ে জবাব চাইলে অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলেন পিআইও নুরুন নবী। তার এমন ধৃষ্টতাপূর্ণ ব্যবহারের কারণে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়।
এরপর শাল্লার সাংবাদিকদের মুখবন্ধ করতে কৌশল নেন পিআইও নুরুন নবী সরকার। ঈদকে সামনে রেখে প্রিন্ট মিডিয়ার সকল সাংবাদিককে তালিকা করে খামের ভেতরে ৩ হাজার করে টাকা বিতরণ করেন। কিছু সংবাদকর্মী টাকা নিয়েছেন! আবার অনেকেই টাকা না নিয়ে প্রশ্ন করেন হঠাৎ কেন পিআইও সাংবাদিকদের টাকা বিতরণ শুরু করেছেন। এ বিষয়ে সংবাদকর্মী তৌফিকুর রহমান তাহের বলেন, আমাকে পিআইও অফিস থেকে ফোন করে বলেছে ২,৫০০ করে টাকা দেয়া হবে। কেন সাংবাদিকদের টাকা দেয়া হবে এবিষয়ে ওই অফিস থেকে কিছু বলতে পারেনি। বিষয়টি বুঝতে আমি প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত সেনকে অবগত করি। এ ব্যাপারে সাংবাদিক জয়ন্ত সেন বলেন, শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তৌফিকুর রহমান তাহেরের ফোন পেয়ে আমি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ ভবনের ৩য় তলায় অবস্থিত পিআইও অফিসে যাই। সেখানে কর্মচারীদের কাছ জানতে পারি সাংবাদিকদের ৩ হাজার করে টাকা দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের এভাবে পিআইও নুরুন নবী সরকার টাকা বিতরণ করার কারণ জানতে চাই। কিন্তু কোন সদুত্তর না দিয়ে একটি খাম আমার হাতে দেয়ার চেষ্টা করেন কর্মচারীরা। তবে আমি তা প্রত্যাখ্যান করে চলে আসি। সেসময় পিআইও নুরুন নবী সরকার তার অফিসে ছিলেন না। এনিয়ে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। অন্যদিকে পিআইও’র কাছ থেকে বেশ ক’জন সংবাদকর্মী টাকা নেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সাংবাদিকদের মাঝে কেন টাকা বিতরণ করছেন তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha