সুনামগঞ্জ , সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা এক ইউপি সদস্য ১৩ প্রকল্পের সভাপতি! জমে উঠেছে দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মীর মৃত্যু, চালকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তারেক রহমান দ্রুত দেশে ফিরবেন : লুৎফুজ্জামান বাবর দুর্গম হাওরের ২২ হাজার শিশুকে সাঁতার শিখাচ্ছে সরকার পরবর্তীতে আমরা প্রত্যেকেই টার্গেট হব : নাহিদ ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই নেপালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলেন সুশীলা কার্কি আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মী নিহত সুশীলা কার্কিকে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা তাহিরপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন তাহিরপুরে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সম্মেলন সম্পন্ন আইসিইউ চালু হবে কবে? জাতীয় নির্বাচনের ‘টেস্ট’ ছিল ডাকসু, ভালোভাবে উত্তরণ : প্রেস সচিব শস্যবীমা : কৃষক ও অর্থনীতির নিরাপত্তা কুরবাননগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন সম্পন্ন বিশ্বম্ভরপুরে বিএনপি নেতা অ্যাড. আব্দুল হকের গণসংযোগ নেই পোকামাকড়ের শঙ্কা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ফলনের সম্ভাবনা

সহিংসতা নয়, সুবিচারই হোক শান্তির পথ

  • আপলোড সময় : ১৭-০৬-২০২৫ ০৮:০৪:১৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৬-২০২৫ ০৮:০৪:১৫ পূর্বাহ্ন
সহিংসতা নয়, সুবিচারই হোক শান্তির পথ
সাম্প্রতিক সময়ে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় যেভাবে সহিংসতা ও পারিবারিক বিরোধে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে, তা গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে পারিবারিক জমিজমা নিয়ে বিরোধে এক ভাইকে প্রাণ দিতে হয়েছে, অন্যদিকে সন্দেহের বশে তরুণের মৃত্যু, আবার আরেক ঘটনায় পারিবারিক কলহে আপন চাচির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভাতিজা। এই তিনটি ঘটনা যেন একটি বড় সংকেত দিচ্ছে- আমাদের সমাজে সহিংসতা ধীরে ধীরে নতুন মাত্রায় রূপ নিচ্ছে। শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধের জেরে নজরুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সুলফির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়, আহত হন তার বড় ভাইও। নিহত নজরুল ছিলেন স্থানীয় যুবদলের একজন নেতা। অন্যদিকে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামে একটি বাড়িতে চুরির সন্দেহে আহত হয়ে পরে রক্তক্ষরণে এক তরুণের মৃত্যু হয়। ইকবাল হোসেন নামের একজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে নিহত তরুণের পরিবার এই ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ বলে দাবি করছে। এখানে প্রশ্ন উঠে- চুরি সন্দেহ হলেই কি কেউ বিচার বহির্ভূতভাবে দা দিয়ে কোপ মারার অধিকার রাখে? নাকি আইনের আওতায় এনে বিচার হওয়া উচিত? আর দোয়ারাবাজারে আপন চাচির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভাতিজা। পারিবারিক পূর্ববিরোধের জেরে এমন এক নারকীয় হত্যাকা- যেন প্রমাণ করে - পরিবার এখন আর নিরাপদ আশ্রয় নয় অনেকের জন্যই। এই তিনটি ঘটনা কেবল ব্যক্তিগত বা পারিবারিক নয়; এগুলো সমাজের সামগ্রিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি। আমরা মনে করি, এখনই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর, নিরপেক্ষ ও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সমাজে আইন, মূল্যবোধ এবং সহনশীলতার চর্চা বাড়াতে হবে পারিবারিক ও শিক্ষাগত প্রতিটি স্তরে। প্রকৃতপ্রস্তাবে, সুনামগঞ্জসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনে নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই হবে। তা না হলে এই সহিংসতা একদিন সর্বগ্রাসী হয়ে উঠবে - যার দায় কেবল ব্যক্তিগত নয়, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যবস্থার ওপরই বর্তাবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স