জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া ::
সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চলের সাধারণ মানুষের জন্য নির্মিত ৪৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বিশ্বম্ভরপুরসহ জেলার ১২টি উপজেলার এই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগই কেবল ভবন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। চিকিৎসক নেই, নেই ঔষধ, নেই প্রয়োজনীয় জনবল। ফলে হাজার হাজার দরিদ্র মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। স্থানীয়রা বলছেন, এসব ভবন এখন জনসেবার নয়, বরং ভেঙে পড়া প্রতিশ্রুতির প্রতীক। চিনাকান্দি গ্রামের জামীলা বেগমের আক্ষেপ- আমরা গরীব, যদি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফ্রি চিকিৎসা আর ঔষধ পেতাম, তাহলে অন্তত বাঁচার একটা সুযোগ হতো। জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, অনেক ইউনিটে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কোনো জনবল নেই। কোথাও মিডওয়াইফ দিয়ে সীমিত সেবা চালানো হচ্ছে, আবার অনেক কেন্দ্র একেবারেই পরিত্যক্ত। বাদাঘাট ইউনিয়নের বণিক সমিতির সভাপতি নজরুল শিকদার বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে, কিন্তু সেবা নেই -এটা দুঃখজনক।” বিশ্বম্ভরপুরের গোবিন্দনগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, এখানে মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও নেই। আমি একাই সেবা দিচ্ছি, তবে জনবল সংকট চরম। তাহিরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামছুদ্দিন আহমদ জানান, বারবার জানালেও কোনো সমাধান আসছে না। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমি একাই চারটি উপজেলার দায়িত্বে আছি- চিকিৎসক ও কর্মকর্তার সংকট দুটোই আছে।
সুনামগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
৪৬ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিলছে না কাঙ্খিত সেবা
- আপলোড সময় : ২১-০৬-২০২৫ ০৮:৫৮:০০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-০৬-২০২৫ ০৯:১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ