সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫ , ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শান্তিগঞ্জে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা জাতি-ধর্মে ভেদাভেদ থাকবে না, এই দেশ সবার : সেনাপ্রধান বর্ণাঢ্য আয়োজনে জন্মাষ্টমী উদযাপিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেনের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবি সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের ‘সাহিত্য আড্ডা’ অনুষ্ঠিত

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট দূর করুন

  • আপলোড সময় : ২৬-০৬-২০২৫ ০১:৪৫:০৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৬-২০২৫ ০১:৪৫:০৯ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট দূর করুন
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এখন দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তার এক কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। হাসপাতাল নেই, পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, নেই প্রয়োজনীয় একাডেমিক ও ক্লিনিক্যাল সুযোগ-সুবিধাও। ফলে একদিকে যেমন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে জাতীয় স¤পদে রূপান্তরিত হওয়ার পরিবর্তে চিকিৎসা শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে হয়ে উঠতে পারেন এক ভয়াবহ দক্ষতা-সংকটের শিকার - যা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্যও হুমকি। সরকারিভাবে অনুমোদিত হলেও কলেজটি এখনও পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল ছাড়াই চলছে। ২০২০ সালে যাত্রা শুরু করা এই মেডিকেল কলেজ ২০২৩ সালে স্থায়ী ক্যা¤পাসে ফিরলেও সেখানে হাসপাতাল চালু হয়নি। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে জেলা সদর হাসপাতালে সাময়িক ক্লিনিক্যাল ক্লাসের সুযোগ পেলেও, সেটি ‘টিচিং হাসপাতাল’ নয়। এর ফলে হাতে-কলমে শিক্ষায় তারা মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। আরও ভয়াবহ চিত্র হলো- কলেজে ১১ জন প্রফেসরের পদ থাকলেও মাত্র ২ জন কর্মরত, এসোসিয়েট ও সহকারী প্রফেসরদের অধিকাংশ পদ শূন্য, এমনকি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যেমন শিশু ও চর্মরোগে কোনো শিক্ষকই নেই। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, লাইব্রেরিয়ান, একাউন্টেন্ট থেকে শুরু করে অফিস সহায়ক পর্যন্ত বেশিরভাগ পদই খালি। এটি শুধু একটি কলেজ নয় - এটি যেন চিকিৎসা শিক্ষার নামে একটি প্রহসন! এ পরিস্থিতিতে ১৮ জুন কলেজ কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ে শিক্ষক সংকট দূরীকরণের দাবি জানিয়েছে, এবং জুলাই মাসে হাসপাতাল চালুর বিষয়ে কমিটির বৈঠক বসার কথা রয়েছে। কিন্তু কেবল আশ্বাসে আর সভার প্রতিশ্রুতিতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হয় না। বাস্তব পরিবর্তন দরকার। আমরা মনে করি, এটি শুধু সুনামগঞ্জ নয়, গোটা দেশের চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থার ভবিষ্যতের প্রশ্ন। একটি মেডিকেল কলেজে যদি পাঁচ বছর পরেও হাসপাতাল না থাকে, শিক্ষক সংকট চরমে পৌঁছে - তবে সে শিক্ষার্থীরা কীভাবে দক্ষ চিকিৎসক হবে? কীভাবে জনগণকে সেবা দেবে? অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ, পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু এবং মেডিকেল শিক্ষার মান নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো ‘ডিগ্রিধারী অথচ দক্ষতাহীন’ চিকিৎসকদের এক অদক্ষ প্রজন্ম তৈরি হবে, যার মূল্য বহন করতে হবে গোটা জাতিকে। সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সংকট শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নয় - এটি দেশের স্বাস্থ্যখাতের ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি। সময় থাকতে পদক্ষেপ না নিলে, ভবিষ্যতে এর দায় এড়ানো যাবে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা

লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা