চুরি করতে গিয়ে ধরা খেলেন সাবেক কনস্টেবল
- আপলোড সময় : ০১-০৭-২০২৫ ১১:৪১:৪৫ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০১-০৭-২০২৫ ১১:৪১:৪৫ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক সাবেক পুলিশ সদস্য। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতাল চত্বরে থাকা একটি মোটরসাইকেল চুরি করতে গেলে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। আটক ব্যক্তি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নেয়াবাদ ইউনিয়নের আব্দুল খালেকের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩০)। তার পরিচয়পত্র অনুযায়ী সে একসময় বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিল বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, চুরি করার সময় তাকে সন্দেহজনকভাবে মোটরসাইকেলের লক খোলার চেষ্টা করতে দেখা যায়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে সে হাসপাতাল থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি করেছে এবং সেই মোটরসাইকেলর মালিক ছিলেন হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী মোহাম্মদ রওশন। সেই মোটরসাইকেলের মালিকের এবার ধরা খেয়ে আরিফুল ইসলাম ক্ষমা চেয়ে ক্ষতিপূরণ ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা দেয় ঘটনার ২০ মিনিট পর। তবে সে টাকাও পরবর্তীতে পুলিশ জব্দ করে নিয়েছে বলে জনান রওশন।
হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, সম্প্রতি শহরের হিউম্যান ল্যাব প্রাঙ্গণ থেকে আরিফুল মোটরসাইকেল চুরি করে এবং আমাদের হাসপাতালেও সিসি ফুটেজেও একই ব্যক্তি ছিল। আজ যখন মোটরসাইকেলের উপর সে পা রেখে চাবি দিয়ে লক ভাঙার চেষ্টা করেছিল তখনই আমরা তাকে ধরে ফেলি। তখন সে তাকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেয়। পরবর্তীতে আমাদের প্রশ্নের মুখে সে স্বীকার করেছে এর আগেও এখানে মোটরসাইকেল চুরি করেছে।
এক পর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের আরিফুল বলেন, আমি শহরের আল হেলাল হোটেলে উঠেছি। আমার ব্যাগটি আপনারা এনে দেন। আর আগের মোটরসাইকেলের জরিমানার টাকা আমি দিয়ে দেব। আমাকে ক্ষমা করে দেন।
পরে হাসপাতালের তিনজন নিরাপত্তা কর্মী তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে সেই আবাসিক হোটেলে গিয়ে ব্যাগটি নিয়ে আসেন। ব্যাগ নিয়ে আসার পর আগের মোটরসাইকেলের চুরির জরিমানার টাকা দিয়ে দেয় আরিফুল।
হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, এদিকে পুলিশকে খবর দিলে তারাও যখন উপস্থিত হয়ে যায়। তখন অভিযুক্ত আরিফুল দাবি করে তার ব্যাগে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ছিল। আমার বাকি টাকা পাচ্ছিনা।
পরে পুলিশ হাসপাতাল থেকে আরিফুলকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের চারজন নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়।
নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, তার ব্যাগে মোট ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা ছিল, যা সবার সবার সামনেই গণনা করে তার কাছে সমঝে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সাথে সাথে হাসপাতালে পৌঁছায় এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ