সিলেটে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
- আপলোড সময় : ০৮-০৭-২০২৫ ১২:২২:০৬ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৮-০৭-২০২৫ ১২:২২:০৬ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ করা এবং পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পরিবহন নেতারা। রোববার (৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় জেলা বাস-মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন। এর আগে শনিবার (৫ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
সর্বাত্মক পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়টি শনিবার (৫ জুলাই) পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিবহন শ্রমিক নেতা ময়নুল। তিনি বলেন, তাদের দাবিগুলো নিয়ে বাস, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনগুলোর বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধর্মঘটে কোনো পিকেটিং হবে না। কোনো গাড়ি ভাঙচুর করা হবে না। শ্রমিকরা ঘরে বসে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন করবেন।
শ্রমিক নেতা ময়নুল আরও বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার্থী, বিদেশ যাত্রী ও রোগী পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যানবাহন ধর্মঘটের আওতার বাইরে থাকবে। তিনি বলেন, পাথর কোয়ারি শুধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না, শত শত ট্রাক শ্রমিক সম্পৃক্ত। এতে মালিক-শ্রমিকদের আর্থিক বিষয় জড়িত। ট্রাক শ্রমিকরা কোয়ারি থেকে পাথর পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এটা থেকে কেন শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে? অবিলম্বে সব পাথর কোয়ারিও খুলে দিতে হবে।
এর আগে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে শনিবার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পণ্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এই কর্মবিরতি শুরু করে। রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো এই কর্মবিরতি অব্যাহত ছিল। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ও আন্তজেলা সড়কে ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
পরিবহন শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান ২৫ বছর, সিএনজি ও ইমা লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল করা; সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া; বিআরটিএ কর্তৃক সব গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের ওপর আরোপিত বর্ধিত টেক্স প্রত্যাহার; সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুৎ মিটার ফেরত ও ভাঙচুর করা মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর ও বালুর ক্ষতি পূরণ দেওয়া এবং সড়কে বালু ও পাথরবাহী গাড়িসহ সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি বন্ধ করা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ