সুনামগঞ্জ , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ , ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমরা ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশ গড়তে চাই : আরিফুল হক চৌধুরী নিত্য যানজটে ভোগান্তি শহরবাসীর জেলায় পাসের হার ৬৮.৪৬%, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১৭ জন বিএনপিতে দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই হবে না : কামরুজ্জামান কামরুল শিক্ষক সংকটের মধ্যে আরো ৫ জন বদলি! ভোটের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, নীতিগত সিদ্ধান্ত ইসির ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ হাওরে মাছের আকাল, চাষের পাঙ্গাসই এখন ভরসা তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র দুই শিক্ষক! দিরাই আ.লীগের সম্পাদক প্রদীপ রায় কারাগারে ৬ দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি মৎস্য কার্যালয়ে পাওয়া গেল অফিস সহায়কের মরদেহ পথে যেতে যেতে: পথচারী মদ্যপ তরুণীর ভিডিওচিত্রে ভাইরাল টাঙুয়া:হাউসবোটে হতশ্রী হাওর ভাড়া দিতে ৩ দিন দেরি হওয়ায় ভাড়াটিয়াকে ঘরে রেখে তালা দখলদারদের কবলে পৌরসভার জায়গা নির্বাচন দেরি হলে জুডিসিয়াল-আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে ট্যাকেরঘাট-বারেকটিলা সড়ক কালভার্ট যেন মরণ ফাঁদ! সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক জুন মাসে সিলেট সড়কে ঝরলো ২৮ প্রাণ

শিক্ষক সংকট নিরসন করুন

  • আপলোড সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৮:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৭-২০২৫ ০৮:০০:৩০ পূর্বাহ্ন
শিক্ষক সংকট নিরসন করুন
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি যদি হয় শিক্ষক, তাহলে আজ সেই চালিকাশক্তি ভেঙে পড়ছে অব্যবস্থাপনা, উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে। তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট সেই বাস্তবতার প্রতিফলন। ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় তিন যুগ পেরিয়ে এখনও শিক্ষক সংকটে কাতর। ১১টি শিক্ষক পদের মধ্যে বর্তমানে মাত্র দুইজন শিক্ষক ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীর দায়িত্ব পালন করছেন - এটি কেবল বিস্ময়ের নয়, চরম বেদনাদায়ক বাস্তবতা। নেই প্রধান শিক্ষক, নেই ইংরেজি, বাংলা, গণিত কিংবা কৃষি শিক্ষার শিক্ষক। নেই পর্যাপ্ত প্রশাসনিক জনবলও। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে একটি বিদ্যালয় শিক্ষার আলো ছড়াবে? বরং এখানকার শিক্ষার্থীরা যেন ‘উন্নয়নের যুগে’ থেকেও শিক্ষার অন্ধকারে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। অন্যদিকে, শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়-এর অবস্থাও আলাদা নয়। ৫৩টি পদের মধ্যে ১৭টি শূন্য - গত দুই মাসেই পাঁচজন শিক্ষক বদলি হয়ে গেছেন। অথচ নতুন কোনো শিক্ষক পদায়ন হয়নি। নিয়মিত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের সিলেবাস অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে, ফলাফল খারাপ হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখিতা কমে যাচ্ছে, কোচিং নির্ভরতা বাড়ছে। এতে একদিকে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে বেসরকারি ব্যয়বহুল শিক্ষা পদ্ধতির ওপর নির্ভরতা বাড়ছে - যা সামগ্রিকভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন, একজন বলছেন “আমার কিছুই করার নেই”, আরেকজন বলছেন “বদলির সময় বুঝে করতে হবে” কিন্তু এই দায় এড়ানো দিয়ে কি একটি প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ফিরিয়ে আনা যাবে? একদিকে হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প, অন্যদিকে বিদ্যালয়ের জন্য দুই-তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দিতে বছরের পর বছর লাগে - এ কোন উন্নয়ন? আমরা জোর দাবি জানাই- অবিলম্বে তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে ও বদলি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া একটি জাতীয় পর্যায়ের জরুরি সমীক্ষা পরিচালনা করে সুনামগঞ্জসহ দেশের সব বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট চিহ্নিত করে তা সমাধানে বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স