সুনামগঞ্জ , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫ , ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নৈতিক শিক্ষা-ভালো মানুষ হলেই দেশ উপকৃত হবে : সেনাপ্রধান জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নে হাতিয়ার হবে না সীমান্তে জব্দকৃত ৯০টি ভারতীয় গরু গায়েব দোয়ারাবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ ভাড়াটিয়াদের আটকে রাখেন বাড়িওয়ালা, উদ্ধার করলো পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের বিশাল সমাবেশ অন্তর্বর্তী সরকার কি আদৌ নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে, প্রশ্ন তারেক রহমানের সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ১০ দোকান উচ্ছেদ মুখ থুবড়ে পড়েছে ছাতক স্লিপার কারখানা নারীরা এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে : জেলা প্রশাসক নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রতিহত করা হবে : আনিসুল হক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন পার্লামেন্ট হিল অটোয়া: সুখেন্দু সেন টাঙ্গুয়ার হাওরে ভাসমান বাজার উদ্বোধন গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় : আইএসপিআর মসজিদে ঢুকে নামাজরত ভাইকে হত্যা চৌধুরী মনসুর আহমদ স্মরণে শোকসভা, তিনি মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন ষড়যন্ত্র রুখতে মাঠে থাকবে যুবদল টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ ভিডিও পোস্ট, প্রতিবাদে থানায় জিডি দোয়ারাবাজারে গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণের দাবি

সীমান্তে জব্দকৃত ৯০টি ভারতীয় গরু গায়েব

  • আপলোড সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৪:২১:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৭-২০২৫ ০৪:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন
সীমান্তে জব্দকৃত ৯০টি ভারতীয় গরু গায়েব
টাস্কফোর্স কমান্ডার জনের জিম্মায় দিয়েছিলেন ৭০ লক্ষ টাকার গরু
স্টাফ রিপোর্টার :: দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ৯০টি গরুর একটি চালান প্রায় আড়াই মাস আগে জব্দ করেছিল টাস্কফোর্স। আইনী জটিলতার কথা বলে সংশ্লিষ্টরা নিলাম না দিয়ে স্থানীয় ৫ ব্যক্তির জিম্মায় দিয়ে দেন প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা মূল্যের ৯০টি গরু। পুলিশ তদন্তে নেমে এখন জানতে পারে ৯০টি গরু জিম্মাদারদের কাছে নেই। স্থানীয়দের আশঙ্কা এগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এতে সরকার মোটা অংকের টাকা রাজস্ব হারিয়েছে।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ৯০টি গরুর একটি চালান সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা নদী থেকে জব্দ করে টাস্কফোর্স। নিয়মানুযায়ী নিলামের প্রস্তুতি নিলে আইনী জটিলতা দেখা দেওয়ায় এগুলো দোয়ারাবাজারের ৫জন ব্যক্তির জিম্মায় দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের প্রতিনিধিদের সামনে টাস্কফোর্স কমান্ডার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসান হৃদয় দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজারের জাহাঙ্গীর আলম, সাব্বির আহমদ, বালিহড়া গ্রামের হারুনুর রশিদ, ধর্মপুর গ্রামের নাজমুল হাসান ও দোয়ারাবাজারের বাহার উদ্দিনের কাছে ৯০টি গরুর আইনী জিম্মা দেন।
এসময় দায়িত্বপ্রাপ্তরা ৯০টি গরুর বিভিন্ন আলামতও নথিবদ্ধ করেন। পাশাপাশি টাস্কফোর্স কমান্ডার বিজিবিকে নিয়মিত মামলা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। জানা গেছে, ৯০টি গরু জিম্মায় দেওয়ার আগে প্রাণিসম্পদ অফিস নিশ্চিত করেছিল এগুলো ভারত থেকে চোরাই পথে নিয়ে আসা হয়েছিল।
কিন্তু দোয়ারাবাজারের গরুর হাটের ইজারাদার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অভিযোগ করায় নিলামে বিপত্তি দেখা দেয়। ফলে নিলাম না দিয়েই স্থানীয় ৫ ব্যক্তির জিম্মায় দেওয়া হয়েছিল গরুগুলো। কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে নিলাম দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই আল আমিন ঘটনাস্থলে সরেজমিন পরিদর্শনে যান জব্দকৃত গরুগুলো কোথায় আছে দেখার জন্য। তিনি জিম্মাদারদের সঙ্গে দেখা করে গরুগুলো কোথায় আছে জানতে চাইলে কেউ তাকে গরু দেখাতে পারেনি। পরে পুলিশের এই কর্মকর্তা গত ১০ জুন আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে গরুগুলো জিম্মাদাররা তাকে দেখাতে পারেননি বলে তিনি উল্লেখ করেন। জিম্মাদার হারুন রশিদ বলেন, গরুগুলো বিভিন্ন স্থানে আছে। আমারগুলোও আমার কাছে নেই। কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে আছে। অপর জিম্মাদার নাজমুল হাসান বলেন, আমার গরুগুলোও আমার কাছে নাই। এগুলো বাঁশতলা এলাকায় আছে। তাহলে পুলিশ কেন খুঁজে পেলনা জানতেই চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমি এ নিয়ে চরম পেইনের মধ্যে আছি। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, আমি সুনামগঞ্জ সদর থানা থেকে বদলি হয়ে এসেছি। তবে এর আগে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গরুগুলো জিম্মাদারদের কাছে পাইনি। এসংক্রান্ত প্রতিবেদন আমি আদালতে জমা দিয়ে এসেছি।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাকারিয়া কাদির বলেন, ৯০টি গরু টাস্কফোর্স কমান্ডার ৫জনকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এখন পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে জানতে পেরেছে এগুলো জিম্মাদারের কাছে নেই।এ বিষয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। আদালত এখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে টাস্কফোর্স কমান্ডার লিখিত নিয়েই ৫জনের জিম্মায় গরুগুলো দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ওই ঘটনার টাস্কফোর্স কমান্ডার মেহেদি হাসান হৃদয় বলেন, আমি বিজিবিকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়ে গরুগুলো ৫ জনের জিম্মায় দিয়েছিলাম। এগুলো রাখার এখতিয়ার আমাদের নেই। এ বিষয়ে আদালতই সিদ্ধান্ত নিবেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স