সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫ , ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত : পাইলটসহ নিহত ২০, আহত ১৭১ বিমানটি ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিতে চেয়েছিলেন পাইলট শান্তিগঞ্জে গাছের চারা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ জগন্নাথপুর পৌরসভার বাজেট ঘোষণা জগন্নাথপুরে নকল প্যাকেটে নিম্নমানের মসলা ও কেমিক্যালযুক্ত খেজুর গুড় বিক্রি পাইকুরাটি ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সড়কবিহীন কমিউনিটি ক্লিনিক, দুর্ভোগে মানুষ সুনামগঞ্জ বিএনপিতে ফাটল, ১৮ ইউনিটে পাল্টা কমিটি দেড় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ বিশ্বম্ভরপুরে নারীর লাশ উদ্ধার দুই যুগ আগের ঝুলে থাকা ১০ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করবে হাইকোর্ট পাঁচ মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯১০০ মামলা বিএনপি’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি জগন্নাথপুরে রিংকনের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, শ্বাসরোধে হত্যা : পিবিআই হাউসবোটে বিদ্যুতের চোরাই জোগান! নৈতিক শিক্ষা-ভালো মানুষ হলেই দেশ উপকৃত হবে : সেনাপ্রধান জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশন কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নে হাতিয়ার হবে না সীমান্তে জব্দকৃত ৯০টি ভারতীয় গরু গায়েব দোয়ারাবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০ ভাড়াটিয়াদের আটকে রাখেন বাড়িওয়ালা, উদ্ধার করলো পুলিশ
দোয়ারাবাজারে ছয় পরিবার আজও অন্ধকারে

বিদ্যুৎ খুঁটি উঠোনে, তবু ঘরে নেই আলো!

  • আপলোড সময় : ২১-০৭-২০২৫ ১১:২১:০৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৭-২০২৫ ১১:৫০:৩০ পূর্বাহ্ন
বিদ্যুৎ খুঁটি উঠোনে, তবু ঘরে নেই আলো!
মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আগুনরায়ের গাঁও গ্রামের প্রতিটি ঘরে যখন বিদ্যুতের আলো জ্বলছে, তখন একই গ্রামের ছয়টি পরিবার আজও অন্ধকারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অবাক করার মতো হলেও সত্য- যাদের উঠোন দিয়েই পল্লীবিদ্যুতের খুঁটি ও বৈদ্যুতিক তার গেছে, তাদের ঘরেই নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুতায়নের প্রায় এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এই পরিবারগুলো এখনো সৌরবিদ্যুতের টিমটিম আলো, মোমবাতি কিংবা হ্যারিকেনের ওপর নির্ভর করেই রাত পার করছে। বর্ষার দিনে সৌরবিদ্যুতের আলো না থাকলে জীবন চলে কুপি বাতির কষ্টসাধ্য আলোয়। এই ছয়টি পরিবার টিনশেড ও আধাপাকা ঘরে বসবাস করেন। তারা বিদ্যুতায়নের কিছুদিন পর বসতভিটা গড়ে এখানে ঘর তোলেন। আশেপাশের অন্য ঘর থেকে তাদের ঘরগুলোর দূরত্ব মাত্র ৫০-৬০ মিটার হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি তারা। অথচ বিদ্যুৎ খুঁটি ও তার একই লাইনে থাকার পরও সংযোগ না মেলায় প্রশ্ন উঠেছে বিদ্যুৎ বিতরণে ন্যায্যতা ও প্রশাসনিক তদারকি নিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা বজলুর রহমান বলেন, ৬-৭ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ঘুরছি। কিন্তু কেউ বিদ্যুৎ দেয়নি। যারা এসেছিল, তারা বলেছিল ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকা দিলে সংযোগ মিলবে। এত টাকা আমাদের মতো মানুষের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। একই এলাকার হনুফা বেগম বলেন,আমাদের উঠোন দিয়েই বৈদ্যুতিক খুঁটি গেছে, তারও গেছে, কিন্তু আলোটা যায়নি ঘরে। সন্ধ্যার পরে শিশুদের নিয়ে কষ্ট করে থাকতে হয়। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম বলেন,পাশের ঘরে বিদ্যুৎ আছে, অথচ আমাদের ঘরগুলো অন্ধকারে থাকে। লেখাপড়ার সময় অনেক কষ্ট হয়। রাতে প্রচন্ড গরমে ঘুমাতে পারি না, সন্ধ্যার পর লেখাপড়া করতে পারি না। এই বিষয়ে দোয়ারাবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তারা আবেদন করলে আমরা খতিয়ে দেখব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অরূপ রতন সিংহ বলেন, বিষয়টি সত্যিই অদ্ভুত। আমি পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স