সুনামগঞ্জ , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তাহিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ জনের কারাদণ্ড বিশ্বম্ভরপুরে টাস্কফোর্স অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ ক্ষোভ-শোক-প্রতিবাদে ফুঁসছে জনতা টাঙ্গুয়ার হাওরে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ট্যুরিজমে’ মনঃক্ষুণœ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণের ঘটনার তদন্ত ও আইসিইউ চালুর দাবি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত তাহিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১৬ জনের কারাদণ্ড জামালগঞ্জে “হাওর বাঁচাও আন্দোলনের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ৩ দিন ধরে নিখোঁজ, নদীতে মিলল জমিয়ত নেতার মরদেহ সীমান্তে ২৩টি ভারতীয় গরু জব্দ দিরাইয়ে তিন ভাগে বিভক্ত বিএনপি শীঘ্রই একটি নির্দিষ্ট সময় হাওরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ স্থাপনা দিরাইয়ে বিএনপি’র শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের ঢল দিরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩ দুই ছাত্রীকে অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়িদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে জুডিসিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন তৎকালীন আইজিপির বর্ণনায় ৫ আগস্ট সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন

নিষিদ্ধ জালে মাছের সর্বনাশ

  • আপলোড সময় : ২৪-০৭-২০২৫ ০৮:১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৭-২০২৫ ০৮:২১:২৮ পূর্বাহ্ন
নিষিদ্ধ জালে মাছের সর্বনাশ
আব্দুল্লাহ আল মামুন ::
হাওরবেষ্টিত উপজেলা জামালগঞ্জে অসংখ্য ছোট বড় হাওর, নদী-নালা, খাল-বিল রয়েছে। এক সময় দেশীয় মাছের ভরপুর ছিল জামালগঞ্জ। রুই, কাতলা, চিতল, বোয়াল, শোল-গজার, কালি বাউস, ট্যাংরা, পাবদা, শিং-মাগুর ও বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছসহ অসংখ্য জীববৈচিত্র্যের ভান্ডার ছিল জামালগঞ্জ। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে হাওরের দেশীয় মাছ। অনেক প্রজাতির মাছ এরই মধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে। আরো অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির পথে।
স্থানীয়রা জানান, শুকনো মৌসুমে প্রতিবছর বিল শুকিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে হাওরের মৎস্য ও জীববৈচিত্র্য। তেমনি নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে মাছের সর্বনাশ করা হচ্ছে। জুলাই-আগস্ট পটপরিবর্তনের পরও বর্তমান সরকারের আমলেও ধারাবাহিকভাবে বিল শুকিয়ে মাছ আহরণ করা হয়েছে। উপজেলার ৭২টি বিল শুকিয়ে মাছ আহরণ করলেও কোথাও জব্দ করা হয়নি সেলু মেশিন, হয়নি কোন মোবাইল কোর্ট। এদিকে, বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বড় দুটি হাওর হালি ও পাগনায় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন চায়না দুয়ারী, নিষিদ্ধ কারেন্টজাল, কোণাজালসহ বিভিন্ন ধরনের জাল ও চাই দিয়ে অবাধে মাছের পোনা নিধন করা হচ্ছে। কোণা জাল দিয়ে মাছের পোনা নিধন করা হলেও হয়নি অভিযান। এখন পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও কার্প জাতীয় চাষের মাছের উপর নির্ভর হাওরপাড়ের মানুষ। বর্ষায় যেখানে প্রতিটি হাট বাজারে দেশীয় মাছে ভরপুর থাকার কথা সেখানে রয়েছে সংকট। হাওরে পানি আছে; নেই শুধু মাছ।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাযায়, জামালগঞ্জ উপজেলায় ২০ একরের নিচে ৪২ টি বিল যার আয়তন ১৫৬.৩০ হেক্টর ও বিশ একরের উপরে ৩৯ টি বিল যার আয়তন ১৯১১.৩০হেক্টর রয়েছে। ছোট বড় মোট ৮১ টি বিল রয়েছে।
উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. কামরুল হাসান (চলতি দায়িত্ব) বলেন, হেমন্তে কোথাও সেলু মেশিন দিয়ে জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করতে দেখলে সাথে সাথে মেশিন বন্ধ করেছি । কয়েকটি বিলের ইজারাদারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ৭২টি বিল শুকিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরা ও পোনা মাছ নিধনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মোবাইল কোর্ট করার কোন ক্ষমতা নেই। আমি এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবহিত করেছি। পোনা মাছ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
ক্ষোভ-শোক-প্রতিবাদে ফুঁসছে জনতা

ক্ষোভ-শোক-প্রতিবাদে ফুঁসছে জনতা