ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের স্মারকলিপি
শ্রমিকদের মূল মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ ১০ দফা দাবি
- আপলোড সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ১১:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৯-০৭-২০২৫ ১১:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

ন্যূনতম মূল মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা, আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড অধিকার ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাসহ ১০ দফা দাবিতে সোমবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি সুখেন্দু তালুকদার মিন্টু ও সাধারণ স¤পাদক সাইফুল আলম ছদরুল।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সারাদেশের শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সংগঠন থেকে ১০ দফা দাবিনামা পেশ করা হয়েছে। সরকারি হিসেবে দেশে মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৭ কোটি ৩৪ লক্ষ। যদিও বিভিন্ন তথ্যে এ সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ কোটি বলা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ শ্রমিকের কোন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এই বৃহৎ শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষ প্রচলিত শ্রমআইনের সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত। নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র, আইনস্বীকৃত কর্মঘণ্টা ও ছুটি, মাতৃত্বকালীন সুবিধা ও ক্ষতিপূরণসহ শ্রমআইনের স্বীকৃত অধিকার অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা ভোগ করতে পারছে না। রপ্তানিমুখী প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোতে শ্রমআইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশী নজরদারী থাকা সত্ত্বেও শ্রমআইনকে পাশ কাটিয়ে শ্রমিকদের উপর তীব্র শ্রম শোষণ ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। একচেটিয়া লগ্নিপুঁজির বেপরোয়া মুনাফার স্বার্থে সস্তা শ্রমশক্তি নির্ভর রপ্তানিমুখী বৃহৎ শিল্পখাত গার্মেন্টস শিল্পে কারখানা কর্তৃপক্ষের নির্মম নির্যাতনে শ্রমিক হত্যার ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। মাসের পর মাস মজুরি, বোনাসসহ ন্যায় সঙ্গত পাওনা বকেয়া রাখার কারণে শ্রম অসন্তোষ দেখা দিলে সমস্যার যৌক্তিক সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পরিবর্তে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের উপর মামলা-হামলা ও হয়রানি চালিয়ে শ্রমিক আন্দোলন দমন করতে তৎপর থাকে। বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে এরকম উদ্দেশ্যমূলক মামলায় অসংখ্য শ্রমিক ও শ্রমিকনেতাদের হয়রানি করা হচ্ছে। দেশে ১৪২ টি শ্রম খাত থাকলেও ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের অধীনে মাত্র ৪৩টি খাতের শ্রমিকদের মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত মজুরি কাঠামোর সর্বনি¤œ মজুরি গড়ে ৮-১০ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের যে হারে মজুরি বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি রয়েছে মূল্যস্ফীতি। উপরন্তু প্রায় সকল সেক্টরেই ৫ বছর অন্তর মজুরি বোর্ড গঠন করে মজুরি বৃদ্ধির দিকও কার্যকরী হয় না। দেশে জাতীয় মজুরি বোর্ড ও মজুরি নির্ধারণের দিকনির্দেশনা না থাকায় সর্বজনীন মজুরিও কার্যকরী নেই। প্রকৃতপক্ষে একজন শ্রমিক ও তার পরিবারের (৬ সদস্য হিসেব ধরে) প্রতিদিনের, প্রতি সপ্তাহের, প্রতি মাসের প্রকৃত মজুরি ন্যূনতম মজুরি ধরে মূল মজুরির অর্ধেক বাড়িভাড়া এবং যাতায়াত ও চিকিৎসা বাবদ প্রয়োজনীয় খরচ যুক্ত করে মোট মজুরি নির্ধারণ করার বিষয়টি কার্যকরী করা হয় না। বর্তমান নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গাড়িভাড়া, বাড়িভাড়া, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ জীবন-জীবিকার সকল ব্যয় হিসেব করলে ৬ সদস্যের একটি শ্রমিক পরিবারে ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা মূল মজুরি হওয়া প্রয়োজন। - সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ