সরেজমিনে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম
- আপলোড সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০৮:১১:২৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০৮:১১:২৭ পূর্বাহ্ন

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ
সুনামগঞ্জে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্থাপিত হলো গত ৩১ জুলাই, ২০২৫। জেলায় প্রথমবারের মতো সরেজমিনে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, যা শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগই নয়, জনস্বাস্থ্যের প্রশ্নে এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ। জনজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত ছিল। অবশেষে এই অভিযান দেখাল, প্রয়োজনে রাষ্ট্র নিজেই আইন প্রয়োগে মাঠে নামতে পারে।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনায় পরিচালিত এই কার্যক্রম সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন সচেতনতা সৃষ্টি করেছে, তেমনি খাদ্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে জবাবদিহির বোধও জাগিয়ে তুলেছে। রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও বেকারিতে সরেজমিনে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য জব্দ করা, মামলা দায়ের এবং সতর্কতা প্রদান - সব মিলিয়ে এটি এক সুবিন্যস্ত ও কার্যকর প্রয়াস।
নিরাপদ খাদ্য অধিকার প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। বাস্তবতা হলো, আমাদের হাট-বাজার থেকে শুরু করে শহরের আধুনিক রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত - সবখানেই খাদ্যে ভেজাল, অপরিচ্ছন্নতা ও মেয়াদোত্তীর্ণ দ্রব্যের দৌরাত্ম্য রয়েছে। শুধু নিয়মিত অভিযান নয়, এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন মাঠপর্যায়ে এমন দ্রুত বিচার কার্যক্রম, যা সঙ্গে সঙ্গে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
এই কার্যক্রমে প্রশাসনের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা স্যানিটারি বিভাগ, পুলিশ ও র্যাবের সমন্বিত সহযোগিতা প্রমাণ করে, রাষ্ট্রীয় কাঠামো সচেষ্ট হলে জনস্বার্থে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। এখন জরুরি বিষয় হলো, এ ধারা যেন এককালীন না হয়। জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও এই ধরনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ