বালুমহাল বন্ধে মানবেতর জীবন
- আপলোড সময় : ০৭-০৮-২০২৫ ০৭:৩৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৭-০৮-২০২৫ ০৭:৩৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

শ্রমজীবী মানুষের কথা ভাবতে হবে
তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জের ২০ হাজারেরও বেশি শ্রমজীবী মানুষ আজ চরম দুঃসহ সময় পার করছেন। যাদুকাটা নদীর বালুমহালটি দীর্ঘ চার মাস ধরে বন্ধ। ইজারা কার্যক্রম আদালতের স্থগিতাদেশে আটকে থাকায় শ্রমিক, মাঝি, ব্যবসায়ীসহ হাজারো পরিবার আজ রুজি-রোজগারহীন, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, পরিবেশ রক্ষা ও নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বজায় রাখা অবশ্যই জরুরি। এক্ষেত্রে বিগত দিনে কিছু অসাধু ইজারাদারদের অবৈধ ড্রেজিং কার্যক্রম এবং নদীর তীর কেটে পরিবেশ ধ্বংসের বিষয়টি উদ্বেগজনক ছিল। তাই আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপও যৌক্তিক। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ভূমি মন্ত্রণালয় ও খনিজ স¤পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দায়িত্ব নির্ধারণ এবং প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও, তা এখনো হয়নি। ফলে একটি বালুমহালের স্থগিতাদেশ আজ হাজারো মানুষের জীবিকার গলায় দড়ি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দায় কে নেবে?
একদিকে যেমন রাষ্ট্র হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব, অন্যদিকে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্মাণকাজের অন্যতম কাঁচামাল- বালুর সরবরাহ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের বহু জেলার ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী মানুষও।
এ অবস্থায় যাদুকাটা বালুমহাল নিয়ে যে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়েছে তা অবিলম্বে সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি ও টেকসই ব্যবস্থাপনার রূপরেখা দিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, যাদের শ্রমে-ঘামে এই দেশ চলে, সেই শ্রমিকদের জীবন যেন কোনো জটিলতার কারণে থমকে না যায়। বিচার হোক, তবে মানুষের জীবিকার পথ আটকে রেখে নয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ