সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫ , ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা তাহিরপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০ র‌্যাবের অভিযানে ভারতীয় ২৭২ বোতল মদ জব্দ যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে তারা দেশের শত্রু : কয়ছর এম আহমদ প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা থেকে গায়েব জেলার বহু খাল নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত : কয়ছর এম আহমদ বিশ্বম্ভরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত শান্তিগঞ্জে ফুটবল খেলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০ দেশ যেন মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয় : তারেক রহমান সত্যশব্দের বর্ষার আয়োজন ‘বাদল গেছে টুটি’ দিরাই থানা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকের ফ্যামিলি গ্যাদারিং অনুষ্ঠিত জনগণের ভোগান্তি কমিয়ে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে : কয়ছর এম আহমেদ জামালগঞ্জে উড়ালসড়ক প্রকল্প পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা তাহিরপুরে তোপের মুখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শান্তিগঞ্জে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা জাতি-ধর্মে ভেদাভেদ থাকবে না, এই দেশ সবার : সেনাপ্রধান বর্ণাঢ্য আয়োজনে জন্মাষ্টমী উদযাপিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৬ লেনের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবি সুনামকণ্ঠ সাহিত্য পরিষদের ‘সাহিত্য আড্ডা’ অনুষ্ঠিত

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শফিকুল বিচারের দাবিতে পরিবারের আর্তনাদ

  • আপলোড সময় : ১০-০৮-২০২৫ ১২:০৮:০৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৮-২০২৫ ১২:০৯:৩৩ অপরাহ্ন
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শফিকুল বিচারের দাবিতে পরিবারের আর্তনাদ
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত শফিকুল ইসলামের পরিবারের কান্না থামছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মানুষটিকে হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা।
‘ঘাতক’ বাসচালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্বজনরা।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। লিখিত বক্তব্যে নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী পরিবারের একমাত্র সম্বল ছিলেন। তাকে হারিয়ে আমরা আজ দিশেহারা। আমাদের নিজের কোন ঘরবাড়ি নাই। সুনামগঞ্জ শহরে আমরা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতাম। আমাদের কোন ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ে ছিলো তাদের বিয়ে হয়ে গেছে, এখন আমাকে দেখাশোনা করার মতো কোন মানুষও নাই। আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো, কার কাছে থাকবো। আমার স্বামীকে যে মেরেছে আমি সেই ঘাতক ড্রাইভারের উপযুক্ত শাস্তি চাই। একজন অসহায় নারী হিসেবে আমি সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
নিহত শফিকুল ইসলামের বড় মেয়ে তাহমিনা আক্তার বলেন, ৬ আগস্ট মোবাইলে ফোনে একজন জানান আমার বাবা এক্সিডেন্ট করেছেন। পরে আমরা সদর হাসপাতালে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় বিষয়টি সাংবাদিকদের জানাই। একটু পর খবর পাই আমার বাবা এক্সিডেন্ট করে ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। খবরটি শোনার পর আমরা কান্নায় ভেঙে পড়ি। পরে পুলিশ মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসে। বাবাকে হারিয়ে আজ আমরা এতিম হয়ে গেছি। এই ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ে আন্দোলন ও আলোচনা হলেও আমাদের পরিবারের খবর কেউ নিচ্ছে না। আমি এই ঘাতক ড্রাইভারের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই।

নিহত শফিকুল ইসলামের ছোট মেয়ের জামাই নাঈম ইসলাম বলেন, আমার শ্বশুর নিহতের পর থেকে এখন পর্যন্ত খোঁজ-খবরতো দূরে থাক কেউ এসে সান্তনাও দেয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সুনামগঞ্জ জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতির সাথে যোগাযোগ করলেও তারা কোন সাড়া দেননি। স্থানীয় প্রশাসনও এগিয়ে আসেনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিকে হারিয়ে এই পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমি এই ঘাতক বাস ড্রাইভারের উপযুক্ত বিচার এবং এই পরিবারের পাশে সহযোগিতা নিয়ে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দুর রহমান, আবু মুসা, নিহত শফিকুল ইসলামের ছোট মেয়ে মমতাজ বেগম, বড় মেয়ের জামাই হেলাল মিয়া প্রমূখ। উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট দুপুরে সুনামগঞ্জের বাহাদুরপুর নামক স্থানে বাস-সিএনজি অটোরিকসা সংঘর্ষে শফিকুল ইসলামসহ ২ শিক্ষার্থী নিহত হন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা

লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যেন ডোবা-নালা