ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন : উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
- আপলোড সময় : ১৮-০৮-২০২৫ ০৮:৫৮:১০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৮-০৮-২০২৫ ০৮:৫৮:১০ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে বিভিন্ন দলের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ ও রাজনীতি আছে জানিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান। রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
এনসিপির একজন নেতা বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। বিএনপি চাচ্ছে যথাসময়ে নির্বাচন। নির্বাচন পিছিয়ে যাবে কি না, সরকারের পরিকল্পনা কী- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পরিকল্পনা তো প্রধান উপদেষ্টা নিজে পরিষ্কার করে বলেছেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তাদের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ আছে, নিজস্ব রাজনীতি আছে। এটার সঙ্গে তো সরকারের অবস্থান বদলের কোনো স¤পর্ক নেই। সরকার বলেছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে, এটাই হচ্ছে সরকারের অবস্থান। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।
সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের কথা শুনে নয়, সরকার সরকারের মতো আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় বলেও জানান উপদেষ্টা।
সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনের আগে সরকার এ বিষয়ে কী বার্তা দিচ্ছে- জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, এটা আদৌ কোনো বার্তা দেয় কি না আমি জানি না। আমিও আপনার মতো শুনেছি এবং পত্রিকায় পড়েছি। আমি যেহেতু বিদেশি দূতাবাসে কাজ করি না, তাই আমি বলতে পারছি না প্রেক্ষিতটা কী, এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো স¤পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না।
রাষ্ট্রপতি থাকছেন না, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন, এমন একটা আলোচনা আছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এ রকম আলোচনার কি শেষ আছে? কত আলোচনা শুনেছিলাম। জুনের মধ্যেও নির্বাচন হবে না, এই মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক বিষয় তো? আমরা বাংলাদেশিরা রাজনৈতিক সচেতন, প্রত্যেকের কাছে সব ঘটনার একটা ব্যাখ্যা আছে। হয়তো এটার (দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো) পেছনে কোনো ব্যাখ্যাই নেই। কিন্তু এটার সঙ্গে নির্বাচনের যে কোনো স¤পর্ক নেই এটা একেবারেই স্পষ্ট। একটা ছবির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো স¤পর্ক থাকতে পারে না।
তিস্তা নদী নিয়ে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি হওয়ার কথা। সেটি কবে হবে। এতে কত ব্যয় ধরা হয়েছে- জানতে চাইলে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে প্রকল্পটিতে হ্যাঁ বলেছি, সেখানে কাগজে-কলমে এখনো লেখা আছে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে প্রকল্প শুরু হবে। সেই প্রকল্পে কত টাকা আসবে, কতটা অর্থায়ন হবে, শর্ত কী হবে- এগুলো নিয়ে বাংলাদেশ সরকার চীন সরকারের সঙ্গে এখন কথা বলছে। তাই ওই আলাপ আলোচনা শেষ না হলে কত টাকা লাগবে, সেটা বলা যাবে না। সরকার হয়তো কাজটি এক ফেজে না করে দুই ফেজেও করতে পারে। চীন সরকার হয়তো টাকা দেওয়ার পদ্ধতিটা অন্যরকম ভাবতে পারে। তাই টাকার অ্যামাউন্টটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এ প্রকল্প নিয়ে সরকার তিনটি বিষয়ে চীনের সঙ্গে একমত হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হবে নদীভাঙন রোধ করা ও কমিয়ে আনা। বন্যার প্রকোপ থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া এবং সেচ মৌসুমে নদীতে যেন পর্যাপ্ত পানি থাকে, সেই ব্যবস্থা করা।
পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে প্রকল্প শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আমরা ১০ বছরের কথা বলেছি। প্রথম পাঁচ বছর পরে সেটার মূল্যায়ন করে আবার পাঁচ বছর। প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছর পর আমরা একটা মিডটার্ম পর্যালোচনার কথা বলেছি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ